ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

টয়লেটের সেফটিক ট্যাঙ্কিতে নবজাতক!

92132_168নিউজ ডেস্ক ::
জন্মের পর একটি শিশুর আশ্রয় মায়ের কোল। পরম মমতায় মা তুলেনেন আপন কোলে। আবার কখনো সেই মা-ই হন নির্দয়। নারীছেড়া ধন শিশুকে ফেলে দেন কখনো নর্দমায়, কখনো ছুড়ে মারেন আকাশে আবার কখনো সেই শিশুকে খাদ্য বানান শেয়াল-নেকড়ের। এমটি একটি নির্দয় ঘটনা দেখতে হলো মনসুরনগর ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের সাধারণ মানুষের।

আজ সোমবার ভোরে ওই গ্রামের দিনমজুর সুনু মিয়ার বাড়ির টয়লেটের পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাঙ্কিতে (৩টি রিং দিয়ে বানানো) পাওয়া গেল একটি নবজাতক কন্যা। নির্দয় মা জন্ম দেয়ার পরপরই পলিথিন মুড়ে সোমবার ভোর রাতের কোনো একসময় সুনু মিয়ার বাড়ির টয়লেটের পানিতে ভরা ওই ট্যাঙ্কিতে ফেলে দেন নবজাতককে। পানিতে ভরা ওই ট্যাঙ্কিতে শিশুটি ডুবে না গিয়ে ভেসে থাকে। করতে থাকে কান্না। বাড়ি থেকে একটু দুরে হওয়ায় কেউই শুনতে পাচ্ছিল না শিশুটির কান্না। ভোরে সুনু মিয়া কাজের জন্য বের হওয়ার সময় টয়লেটের প্রয়োজন পড়ে। টয়লেটের কাছে যেতেই কান্নার শব্দ শুনতে পান। তার চিৎকারে জড়ো হন আশে পাশের লোকজন। উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। বের করা হয় পলিথিন থেকে।

খবর পেয়ে ছুটে আসেন ইউপি সদস্য এম মামুনুন রশিদ। ট্যাঙ্কির পোকায় ধরা শিশুটিকে পরিস্কার করা হয়। তিনি যোগাযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখতের সাথে। তার পরামর্শে পাঠানো হয় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে। কিন্তু নবজাতকটির কোনো অভিভাবক না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ভর্তি করতে রাজি হচ্ছিল না।

পরে ইউপি সদস্য এম মামুনুর রশিদ যোগাযোগ করেন চেয়ারম্যানের সাথে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

শিশুটিকে নিতে আসা কমলগঞ্জ উপজেলার রামপাশা গ্রামের নিহারুন বেগম হাসপাতালে দেখভাল করছেন। হাসপাতালের সমাজসেবা বিভাগও এগিয়ে এসেছে শিশুটির জন্য।

ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত বলেন, শিশুটির খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি মেম্বারকে দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করলে হাসপাতালের সমাজসেবা বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হয়। একজন মহিলা শিশুটিকে নিতে চাচ্ছেন। শিশুটিকে বাঁচানো গেলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে নিতে চায় সে নেবে।

পাঠকের মতামত: