ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা, আটক ২

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ৭ম ব্যাচ ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অয়ন কিশোর বাঁধনকে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকপুর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে আন্দোলনে যাবার ঘোষনাও দিয়েছে মেডিকেলের অপরাপর শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পর ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, লিংকরোড এলাকায় অয়নকে ধরে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে একদল দুর্বৃত্ত। তখন অয়ন নিজেকে রক্ষা করার জন্য হামলাকারীদের ধাক্কা দিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে ওই তিনজনের দু’জন হামলাকারীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়। অয়ন ওই অবস্থায় সহকর্মীদের ফোন দেয়ার জন্য মোবাইল হাতে নিলে তার মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যায় একজন হামলাকারী। পরে সে স্থানীয়দের মাধ্যমে তার ব্যাচমেট ও জুনিয়র ছাত্রদেরকে জানালে সহকর্মীরা সবাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

এদিকে আটক হামলাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অপহরনের চেষ্টাকারী হিসেবে আটককৃত বোরহান ও ঈসমাইল স্বীকার করে যে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেলের কর্মচারী রহিম তাদেরকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে অয়নকে অপহরণের জন্য পাঠায়।

এরপর উত্তপ্ত অবস্থায় মেডিকেলের ছাত্ররা মেডিকেলের কেয়ারটেকার মামুন এর সহায়তায় রহিমকে খুজে বের করে তাকে মেডিকেলের ক্যাম্পাসে ধরে নিয়ে আসে ছাত্ররা। ওইসময় কেন সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানতে চাইলে-সে জানায় তার কোন দোষ নেই, সে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মুসাব্বির হোসাইন তানিমের অনুসারী। তাকে ক্যাম্পাসে এনে বাজার করার চাকরি দিয়েছিল তানিম। তানিমেরই অনুসারী মেডিকেলের ৫ম ব্যাচের ছাত্র মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ৮ম ব্যাচের ছাত্র মোস্তায়ীন বিল্লাহ ত্বকী তাকে বলেছে মেডিকেল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ইমনের অনুসারীদের যে কাউকে পেলে যেন মেরে দেয়। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আটক বোরহান আরো জানায়, সে ইসলামী ছাত্র শিবিরের একজন সক্রিয়কর্মী। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। আরো তথ্য বের হয়, এদের মধ্যে বোরহান একজন সক্রিয় শিবিরকর্মী। বিষয়টি হোস্টেল সুপার ডা. নোবেল কুমার বড়–য়াকে জানানোর পর তাৎক্ষনিক তিনি ক্যাম্পাসে পৌঁছান।

পরবর্তীতে হোস্টেল সুপার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন বলে জানান। অন্যদিকে শিক্ষার্থীকে অপহরণ চেষ্টার ঘটনাটি মেডিকেলের অধ্যক্ষ ডা. সুবাস চন্দ্র সাহাকে ফোন দিয়ে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান আহত শিক্ষার্থী অয়ন। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, তাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে জানানো হয়।

পাঠকের মতামত: