ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড়েও উন্নয়নের জোয়ার পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের এক সূর-প্রতিক্রিয়া

মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি ::

শেখ হাসিনার সরকার পাহাড়ে শান্তি আনায়নে শান্তি চুক্তি থেকে শুরু করে শিক্ষা,যোগাযোগ,বিদ্যুৎ,কমিউনিটি ক্লিনিক সহ সব ধরনের জনকল্যান মূলক কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্টান এ সব সহায়তা করে যাচ্ছেন পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের

উন্নয়নে। বিগত ৪ বছরে উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা পরিষদ,জেলা পরিষদ,এলজিইডি,পিআইও অফিস, জেলা প্রশাসন,যুব উন্নয়ন অফিস,জনস্বাস্থ্য অফিস ও সমবায় অফিস সহ সব ধরণের সরকারী-বেসরকারী সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান এ সব কাজ করে নাইক্ষ্যংছড়ির চেহারা পাল্টে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। সরকার এভাবে কাজ করেই উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিচ্ছেন পাহাড়কে। এতে তারা খুবই খুশি। গতকাল ১১ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৯ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উন্নয়ন মেলা-২০১৮ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত র‌্যালী শুরুর প্রক্কালে উপস্থিত পাহাড়ি-বাঙ্গালি নেতারা এসব কথা বলেন।

পরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল ও উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের নের্তৃত্বে র‌্যালী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে। সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের ন্যায় নাইক্ষ্যংছড়ির উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন করেন ভিডিও কন্ফারেন্স এর মাধ্যমে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চত্বরে অনুষ্টিত এ মেলায় ৩৮ টি স্টল নিজেদের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরার চেষ্ঠায় ছিলেন জনসমক্ষে।

তবে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,যে সব স্টল গতকাল ১১ জানুয়ারী পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে নিজেদের কর্মকান্ড তুলে ধরেছেন-এ গুলো হলো: এলজিইডি,সদর ইউনিয়ন পরিষদ,যুব উন্নয়ন,থানা পুলিশ, ইসলামী ফাইন্ডেশন ও কৃষি অফিস সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। পিআইও অফিস,মৎস্য অফিস, হিসাব রক্ষণ অফিস ও সোনালী ব্যাংক সহ কিছু প্রতিষ্ঠান দায়সারা ভাবে তাদেন স্টল গুলো বসিয়ে যার যার মতো করে বাসা বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। লোকজন স্টলে গিয়েও তাদের ( এ প্রতিষ্ঠানের) সারা বছরের উন্নয়ন সম্পর্কে তেমন ধরণা নিতে পারে নি এ কারণে। এ বিষয়ে অনেকে বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন যেন তারা আরো মনোযোগী হয় ভবিষ্যতে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল জানান, বিষয়টি তিনি দেখবেন। তারা যেন সরকারী কাজে আরো মনোযোগি হয়। আর সরকারী যে কোন কাজে অবহেলা না করতে গতকাল বৃহস্পপতিবার হিসাব রক্ষণ অফিসারকে সর্তক করে দেয়া হয়েছে লিখিতভাবে। উল্লেখ্য তিন দিনের এ মেলা চলবে আগামী কাল শনিবার পর্যন্ত। শেষের দিন শ্রেষ্ঠ স্টল গুলোকে পুরস্কৃত করবেন উপজেলা প্রশাসন।

সংবাদ প্রেরক-

মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি তাং: ১১-১-১৮ ইংরেজি

পাঠকের মতামত: