ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে তুষার ঝড়ে নিহত ১৬ গৃহবন্দী ৩ লাখ বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক ::

যুক্তরাষ্ট্রে তুষার ঝড়ে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি গৃহবন্দী হয়ে আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে, এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৬ আমেরিকান। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের মিল বোর্ন সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নূরল হাসান, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের হাডসন সিটির কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান ও লং আইল্যান্ডের লিন্সব্রুক সিটির ব্যবসায়ী আকতার হোসেন বাদল আলাদাভাবে এ তথ্য জানান। তারা বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে শৈত্যপ্রবাহ বাড়তে থাকলে ৫০ থেকে ৬০ মাইল বেগে তুষার ঝড় হয়েছে। এতে সবকিছু ল–ভ– হয়ে যায়। তাপমাত্রা নেমে হিমাঙ্কের নিচে আসায় লোকজন ঘরের বাইরে আসেননি। সড়ক–মহাসড়কে পুলিশ ভ্যান আর অ্যা¤॥^ুলেন্স ছাড়া যান চলাচল ছিল একেবারে কম। নিউইয়র্ক সিটির বাস ও সাবওয়ে চলাচল করলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল হাতে গোণা।–বিডিনিউজ
নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটস, চার্চ ম্যাকডোনাল্ড, ওজনপার্ক, পার্কচেস্টার, হাডসন, নিউ জার্সির প্যাটারসন, আটলান্টিক সিটি, পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া, আপারডারবি ও মিল বোর্ন সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার সব দোকানপাট ছিল জনমানবশূন্য। নিউ ইয়র্কে থাকা বাংলাদেশি প্রায় ২৫ হাজার ট্যাক্সিচালক কাজ করেননি দুর্যোগের কারণে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারলিনা, নর্থ ক্যারলিনা, উইসকনসিন, মিজৌরি, মিশিগান, নর্থ ডেকটা, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ডিসি, পেনসিলভেনিয়া, দেলওয়ার, নিউ জার্সি, কানেকটিকাট, ম্যাসেচুসেট্স, রোড আইল্যান্ড,

নিউ হ্যামশায়ার, ভারমন্ট ও নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রায় দেড় কোটি আমেরিকান গৃহবন্দি হয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশিও রয়েছেন। দুর্যোগে নিহত হয়েছেন ১৬ আমেরিকান।
বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ১২ ইঞ্চি থেকে ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত ছাড়াও বস্টন ও লং আইল্যান্ডে উপকূলীয় এলাকায় ১২ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। বস্টনের রাস্তা ডুবে যায় গলে যাওয়া বরফের পানিতে।
দুর্যোগের কারণে নিউইয়র্ক, বস্টন, ফিলাডেলফিয়া, বাল্টিমোর, প্রভিডেন্স, রোড আইল্যান্ডসহ ১১টি সিটির সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয় বৃহস্পতিবার। সরকারি অফিসে উপস্থিতির ওপর কোন বাধ্যকতা ছিল না।
নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসেচুসেট্স ও কানেকটিকাট ইত্যাদি অঙ্গরাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। লোকজনকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্য গভর্নররা।
এদিকে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সির বিমানবন্দরগুলোতে ২ হাজার ফ্লাইটসহ বস্টন, ফিলাডেলফিয়া, ভার্জিনিয়া ইত্যাদি এলাকার ৪ হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে হয় বলে জানান পোর্ট অথরিটির নির্বাহী পরিচালক রিক কটন। যাত্রীদের পরবর্তী ফ্লাইটের অপেক্ষায় থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত উপরোক্ত এলাকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচেই থাকবে।

পাঠকের মতামত: