ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ার সাব রেজিষ্টার অফিসে ঘুষ বানিজ্য চলছেই! দেখার কেউ নাই?

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সাব রেজিষ্টার কার্যালয়। সরকারী জনগুরুত্বপূর্ন অফিস। এখানে উপজেলার সাত ইউনিয়নের জমি ক্রয় বিক্রয়ের নিবন্ধনের কার্যক্রম চলে। উপজেলা পরিষদ ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে যেনতেনভাবে সরকারী নিয়ম-কানুনকে অমান্য করেই চলছে কার্যক্রম! সকল প্রকার অনিয়ম ঘুষ বানিজ্যই এখানে নিয়মে পরিনত হয়েছে! অনেকটা প্রকাশ্যেই চলে ঘুষের লেনদেন!

সরকারী অফিস সময়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে ঘুষ বানিজ্য। আর অফিস শেষে প্রতিদিন রাত ৮টার দিকে সারাদিনের আদায়কৃত ঘুষের টাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে পদবী অনুসারে ভাগবাটোয়ারা করে নেন! দীর্ঘদিন ধরে সরকারী এ কার্যালয়টি ঘুষের হাট ও নানান অনিময় দূর্ণীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত হলেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার জেলা রেজিষ্টার ও দূর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারী কোন সংস্থা তা তদারকী করেনি।

পেকুয়া সাব রেজিষ্টার কার্যালয়ে ঘূষ বানিজ্য নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে কক্সবাজারের একধিক স্থানীয় পত্রিকায় বস্তুনিষ্ট ও তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি জেলা রেজিষ্টারসহ সরকারী উর্দ্ধতন প্রশাসনের। নিয়মের কোন বালাই নাই সরকারী এ কার্যালয়ে। সাব রেজিষ্টার কার্যালয়ের অসাধূ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চালাচ্ছেন সরকারী ওই অফিসের কার্যক্রম। সাব রেজিষ্টার প্রতিনিয়তই সরকারী নির্ধারিত অফিস সময়ে অফিসে আসেনা বলে ও রয়েছে অভিযোগ।

জানা গেছে, সরকারী নিয়মানুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সরকারী অফিস সময়। কিন্তু পেকুয়া সাব রেজিষ্টার কার্যালয়ের ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম! পেকুয়ার সাব রেজিষ্টার কার্যালয়ে প্রতি সপ্তাতের বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত দলিল নিবন্ধনের কাজ চলে। সরকারী উক্ত অফিসে এ ধরনের অনিয়মের কাজে সহায়তা করছেন অফিসের কিছু অসাধূ কর্মচারীরা। এছাড়াও সাব রেজিষ্টার কার্যালয়ে আরো নানান ধরনের অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে সহায়তা করছেন অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী! সরকারী ওই অফিসে নানান অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য অতীত ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। প্রতি লাখে দলিল লেখকদের কাছ থেকে ৯শত টাকা করে আদায় করা হয়। এভাবে প্রতিদিন চলে লাখ লাখ টাকার ঘুষ বানিজ্য।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেকুয়ার সাব রেজিষ্টার ইমরান হাবিবের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য সংযোজন করা সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: