ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

লামায় গান পাউডার দিয়ে পাথর বিস্ফোরনে গুরুতর আহত ১

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::   পাহাড় কেটে পরিবেশের ক্ষতি করে প্রশাসনের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়ায় লামায় প্রকাশ্যে চলছে পাথর আহরণ ও পাচার। প্রকাশ্যে অবাধে শত শত গাড়ি পাথর পাচার হলেও প্রশাসনের নিস্ক্রিতা জনমনে প্রশ্নের সঞ্চার করেছে। অবৈধ পাথর উত্তোলনে নতুন করে যোগ হয়েছে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার। ইতিমধ্যে ঝুঁকি নিয়ে পাথর ব্লাস্ট করার কাজে অনেক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে এবং বরণ করেছে চিরস্থায়ী পঙ্গুত্ব।

জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে লামার হরিণঝিরির পশ্চিমপাশের কাঠাঁলছড়া এলাকায় গান পাউডার দিয়ে কোয়ারিতে পাথর বিস্ফোরণ করতে গিয়ে মো. জাকের (৪৫) নামে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। আহত জাকের লামা পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকার সালেহ আহমদ এর ছেলে। বিস্ফোরণে পাথর শ্রমিক জাকের এর বাম হাতের কয়েকটি আঙ্গুল উড়ে যায়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আহত শ্রমিককে হাসপাতালে পর্যন্ত আনা হয়নি। গ্রামের কোয়াক ডাক্তার দিয়ে তার চিকিৎসা করিয়েছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। তবে এই বিষয়ে ভয়ে মুখ খুলেনি আহত জাকের।

পাথর বিস্ফোরণে বিগত দিনে আহত অনেকে জানায়, আহত হওয়ার পরে প্রথমে লোক দেখানো কিছু সহযোগিতা করলেও পরে আমাদের খোঁজ খবর নেয়না পাথর ব্যবসায়ীরা। বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, কাঠাঁলছড়া পাথর কোয়ারিটির মালিক লামা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাবিল মিয়া। এবিষয়ে কাউন্সিলর ও পাথর ব্যবসায়ী হাবিল মিয়া বলেন, আমি নগদ টাকা দিয়ে পাথর ক্রয় করি। তারা কিভাবে পাথর সংগ্রহ করে সেটা দেখা আমার বিষয় নয়। তবে দূর্ঘটনাস্থ পাথর কোয়ারিটি তার বলে দাবি করেন। বিস্ফোরক দ্রব্যের বিষয়ে কোন অনুমতি আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এই বিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, লাইসেন্স বিহীন কোন ব্যক্তি বিস্ফোরক দ্রব্য বহন বা সংরক্ষণ করলে সে বিস্ফোরক আইনে অপরাধী হবেন।

পাহাড় কেটে পাথর সংগ্রহ ও বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহারের বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু বলেন, এখনও পর্যন্ত লামার কোথাও পাথরের পারমিট দেয়া হয়নি।

পাঠকের মতামত: