ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সেন্টমার্টিন জেটির বেহাল দশা

জসিম মাহমুদ, টেকনাফ :
বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা একমাত্র প্রবাল দ¦ীপ টেকনাফের সেন্টমার্টিন। সেন্টমার্টিনে জাহাজ থেকে পর্যটকরা উঠানামার একমাত্র জেটির বেহাল দশা। দীর্ঘদিন এই জেটির সংস্কার ও উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ নেই। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ৭-৮টি জাহাজ নিয়ে প্রায় ৫ হাজারের বেশি পর্যটক আসছে সেন্টমার্টিনে। পর্যটকদের পাশাপাশি সেন্টমার্টিনের স্থানীয়দের ওঠানামার ও চলাচলের একমাত্র জেটি। নেই কোন বিকল্প জেটি অযতœ, অবহেলার শিকার সেন্টমার্টিনের এই জেটি।
সেন্টমার্টিনের স্থানীয় সাংবাদিক মৌলভী নূর মোহাম্মদ বলেন, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০২-০৩ অর্থবছরে এই জেটি নির্মাণ করা হয়।
২০১৭ সালের ২৯ই মে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে সেন্টমার্টিনের জেটির একটি সিড়ি, চারটি গার্ডার ও প্রায় রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই পর্যন্ত জেটির সংস্কার ও উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ নেই। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ৭-৮ টি জাহাজ করে হাজার হাজার পর্যটক এই জেটি হয়ে চলাচল করে। এমন অবস্থায় দ্বীপের একমাত্র জেটিটি সংস্কার করা না হলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, টেকনাফ সেন্টমার্টিন যাত্রায় দমদমিয়ায় বিভিন্ন জাহাজের নির্দিষ্ট জেটি রয়েছে।
কিন্তু সেন্টমার্টিন হতে ফেরার পথে সবাই একটি জেটি দিয়েই টেকনাফের দিকে রওয়ানা করেন,সবার ভরসা এই জেটি। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ জেটি দিয়ে জাহাজে ওঠানামার সময় পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা দরকার ।
সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসে ঢাকা আশুলিয়ার ব্যবসায়ী মনিরুল জামান বলেন, যাওয়ার সময় জাহাজের উপর ভাল লাগল কিন্তু সেন্টমার্টিনের পৌছার পর দেখি পুরনো এই জেটির প্রাণ যায় যায় অবস্থা। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। জাহাজ থেকে ওঠানামায় ২ ঘন্টা সময় নষ্ট হয়ে যায়। সেন্টমার্টিন কেন্দ্রিক সরকার কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। তার পর ও এই জেটি এই ভাবে পড়ে আছে ।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জেটির কারণে সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটক বিমুখ হয়ে যাবে। বিপর্যয় এড়াতে প্রাথমিকভাবে রেলিংগুলো হলেও মেরামতের ব্যবস্থা করা দরকার। সেন্টমার্টিন জেটির বিষয়ে বহুবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি, যা খুবই দুঃখজনক।

পাঠকের মতামত: