ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কচ্ছপিয়ায় সেচ স্কীম নিয়ে দু’পক্ষের পাল্টা ধাওয়া, বড় ধরণের সংঘর্ষ রুখে দিল পুলিশ

রামু সংবাদদাতা :
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মৌলভীর কাটা এলাকার ছনখোলা বিলে চলিত সনের বুরো চাষের একটি সেচ স্কীম নিয়ে দু’পক্ষে মধ্যে বেশ কয়দিন ধরে চলছিল উত্তেজনা। গত কাল ২৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকালে সেচ স্কীমের জমিতে পানি দেওয়ার জন্য দলবল নিয়ে নালা খনন করতে যায় এলাকার উশৃঙ্খল ব্যক্তি আধা ডজন মামলার আসামী সাবেক মেম্বার মরহুম পিয়ার মোহাম্মদের ছেলে জেল ফেরত জহির উদ্দিন ও তার বড় ভাই আমির আলী বাবু।

অপর দিকে একই সেচ স্কীমের দাবীদার মোঃ ইলিয়াছের ছেলে যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরফাত রিসাদ, এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ত্যয়ব ও লেবার নিয়ে নালা খনন কাজ করতে গেলে শুরু হয় ধাওয়া পল্টা ধাওয়া। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে গর্জনিয়া ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিন তৎখানিক খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠায়। এ এস আই মোস্তাফা কামালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বড় ধরণের সংঘর্ষ রুখে দিতে সক্ষম হয়। পুলিশ জনান দুই পক্ষকে এ বিষয়টি সিন্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আপাদত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে পুলিশ ফাঁড়ীতে এসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য বলেন।

এ বিষয়ে ইয়াসিন আরফাত রিসাদ বলেন, চলতি বছরের জন্য এ সেচ স্কীম গত ১৯ ডিসেম্বর আমার নামে পাম্পসেট ব্যবহারের চুক্তিপত্র হয়েছে কক্সবাজার (ক্ষুদ্রসেচ) জোন বিএডিসির সাথে। গত ২৭ নভেম্বর কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি মহোদয় এ সেচ স্কীমের সভাপতি হিসাবে দায়ীত্ব দেওয়ার জন্য ০০০৯৮/১১/২০১৭ স্বারকে জেলা বিএডিসি সহকারী প্রকৌশলীর বরাবর সুপারিশও করেন। তিনি স্কীমটির বর্তমান বৈধ সভাপতি বলে এ প্রতিবেদককে জনান।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমির আলী কর্তৃক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাক মোঃ তৈয়বকে মেরে ফেলার হুুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো চলছে উত্তেজনা যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জহির উদ্দিন  বলেন, দীর্ঘদিন স্কীমটি আমরা চালিয়ে আসছি এবং আমাদের যথাযথ কাগজ পত্র আছে তাই আমরা বৈধ ভাবে খনন কাজ করলে প্রতিপক্ষ এসে বাঁধা দেওয়া এ ঘটনা ঘটে।

পাঠকের মতামত: