ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় পিআইও অফিসে গোপনে ৭৬ লাখ টাকার টেন্ডারবাজি

বিশেষ প্রতিবেদক : 
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত একটি রাস্তা নির্মানের টেন্ডার হাতিয়ে নিয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের ভাতিজা ও তার পিএস সহ তিনজন।
শিডিউল বিক্রি না করে অত্যন্ত গোপনে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের কাকারার ‘গয়ালমারা সড়ক এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন’ শীর্ষক ৭৬ লাখ টাকার প্রকল্পটি হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
এই ব্যাপারে চকরিয়া ঠিকাদার সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারী ৯ টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
২৩ জন ঠিকাদার স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাফর আলমের ভাতিজা কাজল, পিএস আদর ও আরেক যুবক জালাল-এ তিন ব্যক্তি টেন্ডারটি ভাগিয়ে নিয়েছে।
ঠিকাদারেরা আরও বলেন, ওই কাজের কোন সিড়িউল চকরিয়ায় বিক্রি না করে জেলা ত্রাণ অফিসে পাঠানো তিনটি সিডিউল ফরমাল টেন্ডার হিসেবে দাখিল করা হয়। গতকাল তিনটি কাজের সিডিউল ড্রপের শেষ দিন হলেও পিআইও মাত্র দুইটি কাজের সিডিউল বিক্রি করেছেন। আরেকটি কাজের সিডিউল তিনি গোপনই রেখেছেন।
চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও ঠিকাদার মুজিবুল হক বলেন, তিনটি কাজের ফরম দেওয়ার কথা থাকলেও ফরম দেওয়া হয়েছে মাত্র দুইটি কাজের। গয়ালমারা সড়ক এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের নোটিশ টাঙানোও হয়নি। সম্পূর্ণ গোপন রেখে টেন্ডারটি ভাগিয়ে নিয়েছেন কাজল, আদর ও জালাল। এতে ঠিকাদারেরা বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।
এ প্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাফর আলমের প্রিএস আদরকে কয়েকদফা মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
চকরিয়া উপজেলা পিআইও জোবায়ের হাসান বলেন, দেখুন ওই কাজের সিডিউল পেয়েছি ১৫ ডিসেম্বর। আমি সেদিনই সেই সিডিউল বোর্ডে ঝুলিয়েছে। এছাড়া আমি বিষয়টি উর্ধ¦ত্বণ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
কক্সবাজার দূর্যোগ ও ত্রান ব্যবস্থাপনা অফিসের প্রধান সহকারী কর্মকর্তা মো.সিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন ঠিকাদার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। আমি তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছি এটি উপজেলা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানাতে। সেখানে সুবিচার না পেলে জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে।
এ প্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ঠিকাদার সমিতিন পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক দূর্যোগ ও ত্রান ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের চকরিয়া অফিসের পিআইওয়ের সাথে কথা বলেছি।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পাঠকের মতামত: