ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়ার ৫০ হাজার মানুষের জন্য নেই ফায়ার সার্ভিস

হাবিবুর রহমান সোহেল, নাইক্ষ্যংছড়ি ::

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও পার্শবর্তী রামু উপজেলার গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াসহ ঈদগড় বাইশারীর প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জান মালের নিরাপত্তার জন্য নেই কোন ফায়ার স্টেশন বা ফায়ার সার্ভিস। যার কারনে প্রতি নিয়ত এখনকার কোন না কোন এলেকায় আগুনের সুত্রপাত হলে, তার আর নিভানো সম্ভব হয় না। ফলে এই এলেকার সাধারন মানুষ কে প্রতিনিয়ত কারও না কারো ঘর বাড়ি বা দোকান পাট হারাতে হয়। তেমন একটি গত

 শুক্রবার ভোর ৩ টা ৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন হিরু-মনি মার্কেটে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে, হিরু-মনি মার্কেটে অগ্নিকান্ডে সাতটি দোকানসহ বসত ঘর পুড়ে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে কক্সবাজার ও উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, ভোররাত আনুমানিক ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে রুপন চন্দ্র নাথ ও শহিদুল্লাহর ইলেকট্রনিক্সের দোকান, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার নয়নের অফিস, মো: নুরুর মুদির দোকান, দুলাল কান্তি শর্মার সেলুনের দোকান, মোজাফ্ফর আহমদের লাইব্রেরী ও নুরুল ইসলামের ফার্মেসীর দোকান ও মার্কেট মালিকের বসত ঘর সহ সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এতে নগদ টাকা, মোটরসাইকেল ২টি ও বিভিন্ন মালামালসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল ও থানা পরিদর্শক (ওসি) শেখ মো: আলমগীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি আর গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার দুরত্ব ককসবাজার আর বান্দরবান থেকে প্রায় ২০/৪০ কিঃমি হওয়ায় এখানে কোন আগুনের সুত্রপাত হলে, ককসবাজার বা উখিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে এলেকা দুর্গম ও রাস্তাঘাটের মান ভালো না হওয়ায় সময় লাগে প্রায় দেড় থেকে দু ঘন্টা। এতে ওই সব সরকারী গাড়ি ঘঠনা স্তলে পোছানোর আগে সংঘটিত অগ্নিকান্ড দোকান পাট বা গর বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এলেকার সচেতন মহল ওই এলেকার বিশাল জন গোষ্টি কে ওই সব অনা কাংখিত ঘঠনা থেকে বাচাতে গর্জনিয়ায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টশন করার দাবী জানান। এই ব্যাপারে কথা বলতে, রামু ককসবাজারের সংসদ সদস্য সাইমন সরোয়ার কমলের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইলে পাওয়া যায়নি। কচ্ছপিয়া ইউনিয়ানের তিতরা পাড়ার সমাজ সেবক নুরুল আমিন ও ওসমান গনি জানান, গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার মাঝ খানে একটি ফায়ার স্টেশন হলে, বিশাল জন গোষ্টির জান মাল অনাকাংখিত ঘঠনা থেকে রক্ষা পাবে। পরে কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু নোমান জানান, এই এলেকায় একটি ফায়ার সার্ভিস হলে, এখনকার গন মানুষের উপকারে আসবে। কচ্ছপিয়া যুবলীগ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সোহেল জানান, গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা এখন গন মানুষের সময়ের দাবী। আমি মনে করি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোয়া দেশের পাশাপাশি গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ায় ও লেগেছে, তাই আমি এই ব্যাপারে সরকারের জন প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্শন করবো।

পাঠকের মতামত: