ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘শৈবাল হোটেল অপশক্তি হাতে তোলে দেয়া যাবে না’

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি::

শৈবাল হোটেল কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। একই সাথে এই সরকারি হোটেল ও তার নয়নাভিরাম পরিবেশ কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ঐহিত্য। এই মহা মূল্যবান সম্পদটি নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে কোনো পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের হাতে তোলে দেয়া যাবে না। যদি তা করা হয় তাহলে এটা কক্সবাজারের মানুষ মেনে নেবে না। যেকোনো ভাবেই এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করবে কক্সবাজারের মানুষ। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে শৈবাল হোটেল রক্ষার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, আনুমানিক পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পদ শৈবাল হোটেল মাত্রা ৬০ কোটি টাকায় লিজ দেয়া কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অত্যন্ত গোপনে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে কিছু দুর্নীতিবাজ আমলা। এটা মানুষ জেনে গেছে। শুধু শৈবাল হোটেল নয়; কক্সবাজারের আরো মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ লুট হয়ে যাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কক্সবাজারবাসী তা আ হতে দেবে না।

ইঞ্জিনিয়ার কানন পালের সভাপতিত্বে, পরিকল্পিত কক্সবাজারের সমন্বয়ক আবদুল আলীম নোবেলের সমন্বয়ে ও তেল-গ্যাস-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিমের সঞ্চালনায় আয়োজিত উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুজনের জেলা সভাপতি প্রফেসর আবদুল বারী, প্রবীণ সাংবাদিক মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম-৭১ এর নেতা সোলতান মাহমুদ, কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দীন, সাংবাদিক এম.আর মাহবুব, দীপক শর্মা দীপু, আমানুল হক বাবুল, এইচএম নজরুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা তাহমিদুলু মুনতাসির, যুবনেতা নাজিম উদ্দীন, কমিউনিস্টপার্টির নেতা অনিল দত্ত, এড. আহছান উল্লাহ, আজিজ রাসেল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিক, এড. মো. জুনাইদ, চঞ্চল দাশ গুপ্ত, মাহবুবুর রহমান, প্রিন্সিপাল শাহাদাত হোসেন আল কাদেরী, মো. ইউনুছ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদর উপজেলা সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সিয়াম মাহমুদ সোহেল, জুয়েল দে, কণ্ঠশিল্পী মোরশেদ, আয়াছ মাহমুদ রনি, ইসা রুহুল্লাহ রাহুল, মো. সোহেল, রাসেদুল আরাফাত, ইন্সট্রাক্টর নূরুল আমিন, মিনহাজ চৌধুরী, রুবেল হোসেন, দিদারুল আলম দিদার, মাহফুজুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলন, কক্সবাজার সোসাইটি, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ ও শৈবাল আন্দোলন।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের প্রধান আকর্ষণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পদ শৈবাল হোটেলটি মাত্র ৬০ কোটি টাকায় ওরিয়ন গ্রুপ নামে এক বিতর্কিত কোম্পানিকে লিজ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ডায়বেটিক হাসপাতাল, শিশু একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমিসহ আরো বেশ গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ অসাধু প্রক্রিয়ায় হাতছাড়া হতে যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত: