ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছে তারা অনেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের সমাজে ও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত

এম.মনছুর আলম,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়া শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

১৪ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হলরুম”মোহনায়”উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সভাপতিত্বে বুদ্ধিজীবি দিবসের উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ(অনার্স)এম এ।এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আজাদ,চকরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিনিধি হিসেবে উপ-পরিদর্শক (এস আই) তানবির আহমেদ,জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল আবচার,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল,চকরিয়া উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরিদুল আলম,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আতিক উল্লাহ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম,ছৈয়দ আলম কমিশনার,সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাহউল হক প্রমূখ।বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম বাবলা,চিরিংগা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার,কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমানসহ ১৮ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ সরকারি-বেসরকারি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ,সাংবাদিক ও চকরিয়া সিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন,এ দেশকে মেধা শূণ্য করতে ৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়। ১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দূর্বল এবং পঙ্গু করে দেয়ার পরিকল্পনা অংশ হিসেবে বুদ্ধিজিবীদের হত্যা করা হয়। দেশকে মেধাশূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের এ হত্যা করা হয়েছিল।তিনি আরো বলেন,বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী হারানোর ক্ষতি আমরা আজও অনুভব করি, সে অভাব পুরন হবার নয়। আমাদের যে এতটা বছর লেগে যাচ্ছে উন্নতির সিঁড়িতে পা রাখতে, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড তার একটি অনুকরণ ও অনুসরণ।আজ এই স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও দেখতে হয়, সেই সব বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছে তারা অনেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের সমাজে ও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছে।যারা এ দেশের নিরপরাধ মানূষদের নৃশংসভাবে হত্যা করে নগ্ন উল্লাস করেছিল সেই সব পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা আজও স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয়।এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় লজ্জার।

পাঠকের মতামত: