ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘পার্বত্য চুক্তির পর পাহাড়ে বন উজাড় বৃদ্ধি পেয়েছে’

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ::

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পর উদ্বেগজনক হারে পাহাড়ে বন উজার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, যে পাহাড়ে যে অবস্থান করে, সে পাহাড় তার দখলে। এখানে সরকারী নিয়মনীতি কেউ কোন তোয়াক্কা করে না। পার্বত্যাঞ্চলে কেউ আইন মানে না। তাই পাহাড়ে নতুন কোন বনায়নও হচ্ছে না। অসাধু ব্যবসায়ীরা নির্বিচরে উজার করছে রিজার্ভ ফরেস্ট পর্যন্ত। সংরক্ষণের অভাবে যে যার মত বন উজাড় করে বসতি স্থাপন করছে। কাঠ পাচার করছে। জুম চাষ করছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক পবর্ত দিবসে রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বৃষ কেতু চাকমা এসব কথা বলেন।

এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, ত্রিদিব কান্তি দাশ, সাধন মনি চাকমা, সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদারসহ সরকারী বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা আরও বলেন, অপরিল্পিত বন উজাড় কারণে ১৩ জুনের মত ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে রাঙামাটিতে। বৃক্ষশূন্য পাহাড় নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তিনি পাহাড়ে অস্থিত্ব ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

এ সময় পার্বত্য দিবসের আলোচনা সভায় বক্তরাও পার্বত্যাঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে বন উজারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পাঠকের মতামত: