ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সড়ক দূর্ঘটনায় রামু উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ফেরদৌসের ইন্তেকাল: জানাযায় শোকার্ত মানুষের ঢল

সোয়েব সাঈদ, রামু ::
রামু উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন, (ইন্না লিল্লাহি…..রাজিউন)। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরে ঝাউতলা এলাকায় মোটর সাইকেল আরোহী এস এম ফেরদৌস দূর্ঘটনায় গুরুতর ভাবে আহত হন। তাৎক্ষণিক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। রোববার আছরের নামাজের পর রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেছুয়া পালং (মরিচ্যা চেকপোষ্ট) আল হাসান মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিশাল নামাজে জানাযাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, রামু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু, খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মরহুমের ছোট ভাই মাসুদ পারভেজ, মেঝ ছেলে রিয়াদ। এছাড়া সাবেক সাংসদ আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ ও এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তুরের হাজার হাজার শোকার্ত জনতা জানায়ায় শরীক হন।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল চালিয়ে কক্সবাজার শহরের টেকপাড়াস্থ বাসায় যাচ্ছিলেন, রামু উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এস এম ফেরদৌস। শহরে প্রধান সড়কের ঝাউতলা এলাকায় একটি ইজি বাইকের সাথে ধাক্কা লাগে তার মোটর সাইকেলটি। এতে চলন্ত মোটর সাইকেলসহ তিনি ব্রীজের রেলিংয়ের উপর ছিটকে পড়েন। স্থানীয় জনতা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে, রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ৬২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক ভাই, চার বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও রাজনীতিক-সামাজিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যুর খবরে আত্মীয় স্বজন, দলীয়-সামাজিক নেতৃবৃন্দরা শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মরহুমের পরিবারের কাছে ছুঁটে যান।
এস এম ফেরদৌস রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে পূর্ব ধেচুয়া পালং এলাকার মরহুম মো. হাসান মাষ্টারের বড় ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম এ ডিগ্রী অর্জন করেন। বিএনপি’র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে ১৯৯২ সালে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি প্রথমে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, দু’বার রামু উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক, পরে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এবং কক্সবাজার জেলা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর পিতা মরহুম মো. হাসান মাষ্টারও খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

 

পাঠকের মতামত: