ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুতুবদিয়ায় লাইসেন্স বিহীন ২ হাজার ফিশিংবোট

এম.এ মান্নান, কুতুবদিয়া :
কুতুবদিয়ায় ল্ইাসেন্স বিহীন ২ হাজারের অধিক ফিশিংবোট সাগরে চলাচল করছে। জেলেদের নিবন্ধন কার্যক্রমে অগ্রগতি হলেও ফিশিংবোটগুলোর লাইসেন্স করতে মালিকরা গড়িমসি করছে। যে কারণে দুই তৃতীয়াংশ ফিশিংবোট এখনো সরকারি নির্দেশনা মানেনি। ফলে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত ৩ হাজারের বেশি ফিশিংবোট রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার বোটের মালিক লাইসেন্স সংগ্রহ করেছে। বাকি দু‘হাজারের অধিক ফিশিংবোট মৎস্য আহরণ করছে লাইসেন্স ছাড়াই।
ন্যূনতম ১৬ অশ্ব শক্তি সম্পন্ন সকল মাছ ধরার নৌকার লাইসেন্স লাগে। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌ-বানিজ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু উপজেলার মৎস্য অফিস বার বার তাগিদ দিলেও অধিকাংশ বোট মালিক কর্ণপাত করছেনা। প্রতি বছর সরকারি সম্পাদ থেকে ফিশিং বোটগুলো লাখ লাখ টাকা আয় করলেও রাজস্ব পাচ্ছেনা সরকার। এ ছাড়া সাগরে লাইসেন্স বিহীন ফিশিংবোট চলাচল করায় জলদস্যুরা ভূয়া পরিচয়ে ডাকাতি করার সুযোগ পাচ্ছে।
অপর দিকে লাইসেন্স না থাকায় গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে প্রকৃত আবহাওয়ার ধরণ, নিয়ম-কানুন, সরঞ্জাম, লাইফ জ্যাকেট, দূর্ঘটনা রোধক ইত্যাদি মানছেন না জেলেরা। ফলে প্রায়ই বিনা কারণে বা সামান্য ঝড়ে নৌ-দূর্ঘটনা ঘটছে। ফিশিংবোট অপহরণ, ডাকাতি, নিখোঁজ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও লাইসেন্স না থাকায় থানায় জিডি বা মামলা করতে আইনী জটিলতা থাকে। যে কারণে এসব ঘটনার বেশিরভাগ পুলিশের অগোচরে থেকে যাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের ঘাটে অন্তত: ২ হাজার ফিশিংবোট লাইসেন্সের আওতায় আসেনি। সরকারি মৎস্য সম্পাদ আহরণ করতে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সরকার রাজস্ব পাবে। কিন্তু অধিকাংশ বোট মালিকরা পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে বার বার। লাইসেন্স সংগ্রহে প্রচারণা, সহজতর করার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নেয়ার পরও মালিকরা অবহেলা করছেন। এ বিষয়ে একাধিক বার আইন শৃংখলা সভায় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সকল জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। তাতে কাজ না হলে লাইসেন্সবিহীন ফিশিংবোট জব্দে অভিযান পরিচালনা করার কথা জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: