ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় সাব-রেজিষ্টারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা

বিশেষ সংবাদদাতা :

পেকুয়া উপজেলার সাবেক সাব- রেজিষ্টার পরিতোষ কুমার দাশসহ ৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করেছে ভূক্তভোগী এক নারী। আজ ১৬ নভেম্বর পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের রায় বাপের পাড়া গ্রামের মৃত হাসান হাবিবের স্ত্রী রানুয়ারা বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। যার মামলা নং সিআর ১৩৯৬/১৭ইং। ধারা ৪০৬/৪২০/৪৬৫/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৩৪ দ;বি:। আর আদালত মামলাটি আমলে চকরিয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শককে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামীরা হলেন, পেকুয়া উপজেলা থেকে সদ্য বদলী হওয়া সাব রেজিষ্টার পরিতোষ কুমার দাশ, পেকুয়া উপজেলা টইটং ইউনিয়নের পুড়াদিয়া গ্রামের আবদুল গফুরের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, একই ইউনিয়নের কাদির পাড়া গ্রামের শরীফ আহমদের পুত্র আবু তাহের, মৃত আবদুল মাবুদের পুত্র মাহমুদুর রহমান, পেকুয়া সাব রেজিষ্টার অফিসের দলিল লিখক ও চকরিয়া কোনাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা শেখাব উদ্দিন।

আদালতে দায়েরকৃত মামলার আর্জিতে বাদী রানু আরা বেগম লিখিতভাবে উল্লেখ করেছেন, বিবাদী আবু তাহের ও মামহমুদুর রহমান বিগত ২৪/১২/১৫ ইংরেজী তারিখ সকাল ১১ঘটিকার দিকে তার অপ্রাপ্ত বয়সী দুই কন্যা রাজিয়া সোলতানা ও আয়েশা বেগম হিরাকে ইউএনও অফিস থেকে অনুদান পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ইউএনও অফিসের সামনে ৪/৫টি খালী স্টাম্পের শিরোভাগে স্বাক্ষর আদায় করেন।

এরপর দুই তিন মাস পর বিবাদী গিয়াস উদ্দিনকে অনুদানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে ১২/০৯/১৭ইংরেজী তারিখে বিবাদী আবু তাহের ও মাহমুদুর রহমান তার অপ্রাপ্ত বয়সী দুই কন্যার ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত বিএস দাগ নং ৪০৫৫ এর ২.৬৯ শতক জমি জবর দখলের জন্য চেষ্টা চালায়। এসময় রানু আরা বেগম তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, তার দুই মেয়ের কাছ থেকে তারা জায়গা ক্রয় করেছিলেন। বিবাদী গিয়াস উদ্দিন, দলিল লেখক শেখাব উদ্দিনের যোগসাযশে বিবাদী পরিতোশ কুমার দাশ বাদীর দুই প্রাপ্ত বয়সী দুই কন্যাকে পুর্ণ বয়স দেখিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করে নেন। বাদী ২০/০৯/১৭ইংরেজী তারিখে দলিলের সহিমূরি সংগ্রহ করে দেখতে পান যে, বিবাদীগণ তার পঞ্চম শ্রেণী পড়–য়া দুই কন্যা রাজিয়া ও আয়েশার প্রকৃত জন্ম তারিখ যথাক্রমে ১০/০২/২০০২ ও ১১/১১/২০০১ এর স্থলে উভয়জনকে প্রাপ্ত বয়স্ক জমজ সন্তান দেখিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ১৪/০৩/১৯৯৫ইংরেজী উল্লেখ করে। বিবাদী গিয়াস উদ্দিন অপরাপর বিবাদীদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় তার দুই অপ্রাপ্ত বয়সী কন্যার বয়স জালিয়াতি করে অপরাধ সংগঠিত করেছে। বাদী আরো জানান, বিবাদীরা দলিলে তার দুই কন্যার যে বয়স উল্লেখ করেছেন, তা তার বিয়ের সাত মাস পূর্বের!

এ ব্যাপারে জানার জন্য পেকুয়া উপজেলার সাবেক সাব রেজিষ্টার পরিতোষ কুমারের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়ার বহুবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: