ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে হয়রানীর হাসপাতালগুলো র‌্যাবে ঝটিকা অভিযান : সাড়ে ৭ লাখ নগদ টাকা জরিমানা

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥

হয়রানীর হাসপাতাল হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে কক্সবাজার শহরে গজে উঠা একাধিক বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতাল। সরকারের কঠোর হুশিয়ারীর পরও বেপরোয়া হাসপাতাল। অকারণে নানা টেস্ট থেকে মোটা অংকের বিল। চিকিৎসা সেবার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রাণী করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। নিয়মনীতি না মেনে চলে আসছে হাসপাতালগুলো।

হয়রানীর কেন্দ্র বিন্দু এসব বেসরকারী হাসপাতালে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-৭। এসময় ৩ টি হাসপাতালকে সাড়ে ৭ লাখ নগদ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে র‌্যাবের এ অভিযান।

দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সক্রিয় রয়েছে বড় ধরনের দালাল চক্র। দালাল চক্রের মাধ্যমে রোগীদের সরকারী হাসপাতালের পরিবর্তে ডুকিয়ে দেন বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখাইেন চলে যতসব বেআইনী কারবার। ল্যাবে অবৈধ টেস্ট করে সাধারণ রোগীদের হয়রানী। যারা টেস্টা করেন সেই সব রিপোর্টে নেই কোন চিকিৎসকের স্বাক্ষর। কারণে অকারণে টেস্ট দিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয় হাসপাতাল নামের কসাইখানা গুলো। এসব হাসপাতাল ও ডায়গানস্টিক সেন্টারে স্থাপিত ল্যাবগুলোতে ভুঁয়া টেস্ট রিপোট তৈরি, যন্ত্রপাতির গুইসু মান খারাপ সহ রোগীদের টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে জাল জালিয়াতি করে আসছে। বিশেষ করে ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতাল ও শেভরণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে রয়েছে সব চেয়ে বেশি অভিযোগ।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাবের অভিযানে ভোক্তা অধিকার আইনে বেসরকারী ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালকে ৩ লাখ নগদ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে সী-সাইড হাসপাতালকে ৫০ হাজার , সেভরণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৪ লাখ নগদ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। দীর্ঘ চার ঘন্টার এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব ৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন, র‌্যাব-৭ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সারওয়ার আলম, র‌্যাবের অতিক্তি পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন, কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তার মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর।

র‌্যাব-৭, কক্সবাজার এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, এরআগে কক্সবাজার শহরে দুই ভূঁয়া ডাক্টারসহ ৬ জনকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় র‌্যাব। এসময় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওধুধ বিক্রির অভিযোগে ৩ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা জরিমানা আদায় এবং সাতটি ডেন্টাল সার্জারী দোকান সীল গালা করা হয়েছে। এছাড়াও ভবিষ্যতের জন্য ওই সব হাসপাতালগুলোকে কঠোরভাবে সাবধান করে দেয়া হয়।

পাঠকের মতামত: