ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় বুরো চাষের ধুম, বিদুৎতের লোড শেডিং নিয়ে চিন্তিত কৃষক

াাাাডডফারুক আহমদ, উখিয়া॥

উখিয়ায় বুরো চাষাবাদে চারা রোপনে ধূম পড়েছে। ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। তবে পল্লী বিদ্যুৎতের মারাত্মক লোড শেডিং নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় চাষীরা। বিদ্যুৎতের অবস্থা উন্নতি না হলে ফলন উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা করছে সচেতন কৃষক।

উখিয়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে বুরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে বুরো চাষের চারা রোপনের ভর মৌসুম। কৃষকরা জমিতে চারা রোপন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্রি ২৮ নং উচ্চ ফলন শীল নামক জাতের চাষ করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, হলদিয়াপালং, রতœাপালং, জালিয়াপালং, রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের ৬৪টি গ্রামে বুরো চাষাবাদের চারা রোপন কাজে কৃষক কৃষাণীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে রোপন কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। উখিয়া কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, রোগ বালাই দমনে প্রয়োজনীয় কীটনাশক ও সার প্রয়োগ এবং পরিচর্যার উপর কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে কৃষক কৃষাণীকে শাক সবজি উৎপাদন, ক্ষেত খামার ও চাষাবাদের উপর হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, বুরো চাষে সেচ দেওয়ার জন্য প্রায় ১২শ সেচ পাম্প রয়েছে। এসব সেচ পাম্প বিদ্যুৎ চালিত। সচেতন চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, বুরো মৌসুম শুরু না হতে পল্লী বিদ্যুৎতের লোড শেডিং বেড়ে গেছে। তা দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে। সকাল ৮টায় চলে গেলে সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে বিদ্যুৎতের অভাবে সেচ পাম্প চলা কঠিন হয়ে পড়েছে।

কোটবাজার ভালুকিয়া রোডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিক আহমদ সওদাগর জানান, বুরো চাষটি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎতের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে যে পরিমান পল্লী বিদ্যুৎতের লোড শেডিং শুরু হয়েছে তাতে চাষাবাদ ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অথচ বর্তমান সরকার বুরো মৌসুমে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি লোড শেডিংয়ের মাত্রা কমানোর জন্য জেলা প্রশাসক ও পল্লী বিদ্যুৎতের জিএমের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে বুরো মৌসুমে পল্লী বিদ্যুৎতের লোড শেডিং বেড়ে যাওয়ায় চাষাবাদের ফলন উৎপাদন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় কৃষকরা। তাই কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে চাষাবাদ বাঁচাতে ও ফলন উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করার জন্য অবিলম্বে লোড শেডিং বন্ধ করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদুৎ সরবরাহ দাবী জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: