ছালাম কাকলী, মহেশখালী ::
মাতার বাড়ির ধনকোঁপের মালিক শেখ কামালের ২য় স্ত্রী দুবাই প্রবাসী হুসনে আরা কামালের মালিকনাধীন কোটি টাকার বসতবাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে চলছে টান্-টান্ উত্তেজনা চলছে । ঘটে যেতে পারে যে কোন মুহুর্তে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। মাতার বাড়ি পুলিশ ক্যাম্পও ইউ, পি চেয়ারম্যান এ নিয়ে টেনশনে রয়েছে। সতর্ক রয়েছে এলাকার সচেতন মহলসহ পুলিশও।
মাতার বাড়ির ইউ,পি সদস্য যুবলীগ নেতা জাহেদুল ইসলামসহ এলাকার সচেতন মহল জানান, শেখ কামালে ২য় স্ত্রীর বাড়ি মাতার বাড়িতে। এ সুবাদে শেখ কামাল ২য় স্ত্রী হিসাবে হুসনে আরাকে বিয়ে করার পর একই এলাকার জার্মান অফিসের লাগোয়া ১১০ কড়া জায়গা হুসনে আরার নামে দলিল করে নেয় এবং ঐ জায়গায় কোটি টাকার মূল্যের অত্যাধুনিক দুই তলা একটি ভবন নির্মাণ করে দেয়া হয় । বিয়ের পরবর্তী হুসনেআরা কামালকে দুবাইতে নিয়ে যায়। সেখানে ৫টি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বহাদ্দার হাটে আবসিক এলাকায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ৫তলা একটি ভবন নির্মান করেন। এ ছাড়া কক্সবাজার কলাতলিতে তার রয়েছে অত্যাধুনিক ভবন সহ কয়েক কোটি টাকা জমি। তবে তিনি বেশি ভাগই বসবাস করতেন চট্টগ্রামস্থ বহাদ্দার হাট আবাসিক এলাকার ভবনে। সেখান থেকে মাঝে মধ্যে দুবাইতে যাতায়ত করতেন ২য় স্ত্রীর কাছে। নিজ এলাকা হিসেবে মাতার বাড়িতে গেলে হুসনে আরা কামালের মালিকাধীন ভবনে বসবাস করতেন। বেশি ভাগই বসবাস করতেন চট্টগ্রামস্থ বহদ্দারহাট এলাকার আবাসিক ভবনে। ঐ ভবনে বসবাসরত অবস্থায় কক্সবাজারস্থ ইনানী এলাকার আরাফাত আক্তার মানু নামের এক মহিলাকে বিয়ে করে। এ অবস্থায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় শেখ কামালের মৃত্যূ ঘটে। তড়িগড়ি করে আরাফাত আক্তার মানু অন্যান্য লোকজন নিয়ে লাশ বাহি গাড়িতে করে শেখ কামালের লাশ মাতারবাড়িস্থ দ্বিতলা ভবনে নিয়ে যায়। ঐ দিন শেখ কামালের লাশ দাফন করার পর রাতের আধারে সকলের অজান্তে ঐ ভবনে থাকা আলর্মিরা ভেঙ্গে ব্যাংকের চেক বই, দলিল পত্রাদি সহ বিভিন্ন কাগজ পত্র আরাফাত আক্তার মানু ব্যাগে ভরে পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর ভোরে সকলের অজান্তে মাতার বাড়ি থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামস্থ আবাসিক ভবনে চলে যায়। তা দেখে শেখ কামালের আত্বীয় ৪নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহেদ ঐ দিন মহেশখালী থানায় মানুর বিরুদ্ধে ১টি জি,ডি করেন। যার নং-১২৬৪। অপর দিকে শেখ কামালের লাশ দেখতে আসার সুবাদে শেখ কামালের বোন জন্নাতুল ফেরদৌস, বোনের জামাতা খলিলুর রহমান, খলিলের পুত্র মিজান ও খলিলের কন্যা রুসি আক্তার ঐ ভবনের কয়েকটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভিতরে কোন অবস্থাতে বেরিয়ে যাচ্ছে না। ভবন থেকে তারা বেরিয়ে না যাওয়ায় ভবনের মালিক দুবাই প্রবাসী হুসনে আরা কামাল তা-শুনে দুবাই থেকে এসে জন্নাতুল ফেরদৌস ও খলিল গংদের বিরুদ্ধে ১টি জিডি সহ চাঁদাবাজি অভিযোগ করেন মহেশখালী থানায়। একই দিন আত্বীয়ের সূত্রে ইউ,পি সদস্য জাহেদুল ইসলাম জাহেদের নিকট ঐ জায়গা এটর্নি পাওয়ার মূলে হুসনে আরা কামাল বিক্রি করে দেয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে খলিল ও জন্নাতুল ফেরদৌস ঐ ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে জাহেদ মেম্বার থেকে মোটা টাকা দাবি করে বসে । এতে তিনি খলিল গংদের বিরুদ্ধে আরো ১টি জিডি করে গত ৩০ অক্টোবর। এ নিয়ে এলাকায় চলছে টান-টান উত্তেজনা। এমনকি শেখ কামালের মৃত্যু রহস্যজনক দাবি করে আরাফা আক্তার মানুর বিরুদ্ধে মামলার করার জন্য শেখ কামালের আত্বীয় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে র্ধনা দিচ্ছে। তবে চকরিয়ার বাসিন্দা চট্টগ্রাম মহানগর বি,এন,পির এক নেতা শেখ কামালের মৃত্যু রহস্য ধামা-চাপা দিতে আরাফা আক্তার মানুকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে তদবীর চালিয়ে যাচ্ছে বলেো অভিযোগ উঠেছে।
পাঠকের মতামত: