ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চিরিঙ্গায় প্রতিদিন ভয়াবহ যানজট

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::

যানজটের ভোগান্তি লেগেই আছে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যস্ততম চিরিঙ্গার দুপাশের ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা, ভাসমান দোকান ও অভ্যন্তরীণ সড়কের গাড়িস্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এসব হকারের ভাসমান দোকান গুলো থেকে প্রতিদিন বিভিন্নভাবে চাদাবাজি হয় লাখ টাকার উপরে।

কিছুদিন পর পর উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও তা কাজে আসছে না। অভিযানের পর পরই ফুটপাত আবার বেদখল হয়ে যায়।অভিযোগ রয়েছে, কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে ভাসমান হকারদের বসার সুযোগ করে দেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন হকার বলেন, আমরা টাকা দিয়ে ‘অনুমতি’ নিয়ে দোকান খুলে ব্যবসা করছি। প্রশাসন মাঝে-মধ্যে উচ্ছেদ করলেও ফের আমরা ঠিকই দোকান খুলে ব্যবসা করতে পারি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি কিভাবে পৌর শহরকে যানজটের কবল থেকে মুক্ত রাখা যায়। তবে এ জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে আরো আন্তরিক হতে হবে। তা না হলে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৌরশহর যানজট মুক্ত করা দুরূহ ব্যাপার। ’

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ‘ইউএনও হিসেবে সবেমাত্র যোগদান করেছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ফল ব্যবসায়ী হকার জানান, আমাকে প্রতিদিন পেৌরসভার টেক্সসহ ২শত টাকার উপরে বিভিন্নভাবে চাদা দিতে হয়।

চিরিঙ্গাকে কীভাবে যানজটের কবল থেকে রক্ষা করা যায় সেজন্য জোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কয়েকদিন পর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষসহ সব পক্ষকে নিয়ে অচিরেই বৈঠক করব। এতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘ফুটপাতে যাঁরা ব্যবসা করেন তাঁরা সবাই গরিব। এর পরও কোনো অবস্থাতেই চিরিঙ্গাকে যানজটের শহরে পরিণত হতে দেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কাঁচামালের আড়তগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ’

উল্লেখ্য, চকরিয়ার চিরিঙ্গা বাণিজ্যিক কেন্দ্রের মার্কেটগুলো গড়ে ওঠেছে মহাসড়ক ঘেঁষেই। এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, বিমা, হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া প্রতিদিন মহেশখালী, কুতুবদিয়া, লামা, আলীকদম ও পেকুয়ার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ চিরিঙ্গা স্টেশন হয়ে যাতায়াত করে। এসব কারণে সকাল থেকে চিরিঙ্গা শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু তীব্র যানজটে এখানে আসা মানুষগুলো অতিষ্ঠ।

পাঠকের মতামত: