ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাজারের প্রবেশদ্বার ঈদগাঁওবাসীর মরণ ফাঁদ

wwwwwwনুরুল আমিন হেলালী ::

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বানিজ্যিক উপশহর খ্যাত ঈদগাঁও বাজারের প্রধান যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি দূর্ভোগ আর দূর্গতি থেকে কোন ভাবেই রক্ষা পাচ্ছেনা । বাজারের প্রবেশদ্বারখ্যাত বঙ্কিম বাজার থেকে জীপষ্টেশন পর্যন্ত লোকজন ও যানবাহন চলাচলের সড়কটির এখন মরন ফাঁদ বললেই চলে। প্রতিনিয়ত আসা যাওয়াতে এতো কষ্ট সহজেই মেনে নেওয়া যায়না বলে জানান অসংখ্য পথচারী, যাত্রী,শিক্ষার্থী ও চালকরা। অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত এই সড়কে প্রায়শ দূর্ঘটনা ঘটছে। এমনকি এই নোংরাময়লা ও কাঁদাযুক্ত পানি মাড়িয়ে গর্তে পা ফেলে ফেলে এপাশ ওপাশ যেতে হয়। দেখা যায়, গেল বছর ঈদগাঁও বাসষ্টেশন হয়ে ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়কের ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত এসে রাস্তার কাজ থমকে যায়। সে থেকে বঙ্গিম বাজার পর্যন্ত সামান্যতম সড়কটি দিয়ে যান ও জন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শুল্ক মৌসুমেও সড়কটির করুন দশায় পতিত আর বর্ষা মৌসুমে কাদাজলযুক্ত পানি পেরিয়ে যান ও জন চলাচল করে, রাখে আল্লাহ মারে কে অবস্থায়। বর্তমানে ডিজিটাল যুগেও সড়কটির এমন অবস্থা আসলেই লজ্জাজনক। দিনবদলের দিনেও অনুন্নত সড়ক দিয়ে হাঁটাচলা কষ্টকর।এদিকে ঈদগাঁও বাজার,চৌফলদন্ডী হয়ে সরাসরি ককসবাজার প্রতিনিয়ত হরেক রকম কাজে কর্মে মানুষজন আসা যাওয়া করে থাকে। কিন্তু অতি পরিতাপের বিয়য়, জেলা সদরের এমন একটি জনবহুল বাজার ঈদগাঁওর কিছু অংশ সড়কের কাজ অসমাপ্ত থাকার দরুন দীর্ঘকাল ধরে চলাফেরায় তার মাশুল গুনতে হচ্ছে বৃহত্তর এলাকার ছৌফলদন্ডীর মিয়া বাজার, কালুফকির পাড়া, নতুন মহাল, শুক্কুরের দোকান, চারাবট গাছ তলা, পালাকাটা, বশিরের দোকান এবং ঈদগাওর বৃহত্তর মাইজ পাড়া, বঙ্গিম বাজার, জাগির পাড়া ও জালালাবাদের ফরাজী পাড়া, লরাবাগ, রাবার ড্রাম এলাকা ও চরপাড়ার কয়েক লক্ষাধিক বাজারমুখী ব্যাবসায়ী ও সগদাকরতে আসা লোকজনের।। সে সাথে যানবাহন চলাচলের দূর্দশাতো আছেই। এছাড়াও চলাচল অযোগ্য এ সড়ক দিয়ে ঈদগাঁও মাইজপাড়া, ফরাজী পাড়া, ছৌফলদন্ডী সড়কের শতশত টমটম, অটোরিকশা,ছারপোকা, সিএনজি,সাধারন রিকসা দৈনিক চলাচল করে থাকে। আবার চট্রগ্রাম থেকে মালবাহী বড় বড় ট্রাক এ বাজারে আসে নানান ধরনের খাদ্যদ্রব্য নিয়ে। অন্যদিকে প্রতিদিন সকালে ঈদগাহ ফরিদ আহমদ ডিগ্রী কলেজ, ঈদগাহ আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা,ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন, ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন কিন্ডার গার্ডেনে অসংখ্য শিক্ষার্থী নিদারুণ কষ্টের বিনিময়ে আসা যাওয়া করে থাকে। তাদেরকে দূর্ভোগ আর দূর্গতি যেন পিছু ছাড়ছেনা। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে জানান, দু:খ আর কষ্টকে সাথী করে দৈনিক প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। এ দূর্ভোগ থেকে কবে রক্ষা সেই প্রশ্ন এখন কোমলমতি শিক্ষাথীৃদের। অন্যদিকে দুয়েকজন চালকের মতে, ভাড়ায় চালিত যানবাহন নিয়ে যাত্রী পরিবহন করতে গিয়ে এ অযোগ্য সড়ক পেরিয়ে আসতে বেশ কিছুক্ষন সময় ব্যয় পাশাপাশি গাড়ীর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম বললেই চলে। অসংখ্য গর্তে ভরা সড়কের দু“ দুপাশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে পড়েছে মহা বিপাকে। লক্কর-ঝক্কর মার্কা সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়াতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। তারপরও সংশ্লিষ্ট সড়কের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাথা ব্যাথা নেই। দীঘদিন অসমাপ্ত সড়কের কাজ শুরু না করায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোন সুস্থ বিবেকবান ব্যাক্তি একবার এ সড়ক দিয়ে আসলেও দ্বিতীয়বার সহজে আসতে অনিহা প্রকাশ করবে। আরো জানা যায়, ককসবাজারের সিংহভাগ আয়ের উৎস সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে বৃহত্তর ঈদগাঁও থেকে। ঈদগাঁওর কৃর্তিমান ব্যাক্তিরা জেলার সর্বোচ্চ স্থানে আসীন থাকার পরও এ চলাচল অযোগ্য সড়কের প্রতি সুদৃষ্টি না থাকায় বাজারের প্রধান সড়কের প্রবেশ পথের এহেন অবস্থা বলে জানান সাধারন লোকজন । এমতাবস্তায় যতদ্রুত সম্ভব বাজারের অসমাপ্ত কাজ মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ঈদগাঁওবাসী। অপরদিকে বঙ্কিম বাজার হতে আলমাছিয়া সড়কটির অবস্থা আরও করুণ।

পাঠকের মতামত: