ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পরিবর্তনের ছোঁয়ায় আউটার স্টেডিয়াম হবে ‘স্বপ্নপুরি’

ctgsteচট্রগ্রাম প্রতিনিধি ::

পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগছে নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে। আউটার স্টেডিয়ামের উত্তর পুর্ব কোনায় থাকা ঝুপড়িবাথরুম আর থাকছে না। আবর্জনার ভাগাড় সরিয়ে আউটার স্টেডিয়াম এলাকা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। জানতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নাছির উদ্দিন বলেন, বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা ময়লা আবর্জনায় নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে নগরীর নুর আহমদ সড়ক এলাকায়। আউটার স্টেডিয়ামের উত্তর পাশ থেকে পুর্ব পাশ পুরো এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা এলাকায় পরিবেশ চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পথচারীদের নাকে রুমাল চেপে চলাফেরা করতে হয়। পুরো নুর আহমদ সড়ক এলাকা দৃষ্টি নন্দন করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যেখানে চাইলে মানুষ বিকেলে একটি সুন্দর সময় কাটাতে পারবে। আশা করছি আগামী মার্চ মাসের মধ্যে নুর আহমদ সড়ক এলাকার চিত্র পরিবর্তন হবে।
সিটি মেয়র জানান, আউটার স্টেডিয়ামের উত্তরপূর্ব কোণে থাকবে ৭১ ফুট উঁচু স্মৃতিস্তম্ভ, দক্ষিণমুখী গ্যালারি, আধুনিক বাসস্ট্যান্ড। দ্রুত, ধীরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিদের হাঁটার উপযোগী ফুটপাত। শরীর চর্চাকেন্দ্র। প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। ফাস্টফুড শপ। বুকস্টল। মুক্তমঞ্চ। পর্যটন তথ্য কেন্দ্র। বিশ্বমানের গণশৌচাগার। তিনটি ধাপে কাজ হবে আউটার স্টেডিয়ামের। প্রথম ধাপে ফুটপাতের কাজ হবে। আমরা ফুটপাতে একটি লেন রাখব মানুষ যাতে দ্রুতগতিতে বাসস্টপেজে আসাযাওয়া করতে পারেন। আরেকটি থাকবে ধীর গতিতে চলাচলের জন্য। এরমধ্যে দৃষ্টিবন্ধিদের জন্য হলুদ রঙের বোতাম টাইলসের একটি লেন থাকবে। যাতে তারা নিজেরাই চলাফেরা করতে পারে। বয়স্করা যাতে চলতি

পথে বিশ্রাম নিতে পারেন, রোদবৃষ্টিতে যাতে পথচারীরা আশ্রয় নিতে পারেন সে জন্য ছাউনি থাকবে। গাড়ি ড্রপ আউটের জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকবে। ছোটবড়মাঝারি আকারের প্রচুর গাছ থাকবে।
বর্তমানে যে বিশ্রি রকমের গণশৌচাগার আছে মোড়ে তা সরিয়ে নেওয়া হবে। কারণ রাস্তার মোড় দৃশ্যমান করতে হবে। আমরা মোড়ে চার ফুটের ব্যাসের একটি স্মৃতিস্তম্ভ
করা হবে। সার্কিট হাউসের ফটকের সামনের সড়কে যে গ্যালারি হবে তার নিচে থাকবে শৌচাগার। যা বাইরে থেকে দেখা যাবে না। এগুলো দ্বিতীয় ধাপের কাজে থাকবে। ধাপে মাঠের কাজ হবে। ক্রিকেটের জন্য বর্তমানে যে নেট প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা আছে তা থাকবে। জগিং ট্রাক থাকবে। ব্যায়ামের জন্য কিছু স্থায়ী জায়গাসহ নির্ধারিত কর্নার থাকবে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী কিছু চেঞ্জ রুম, লকার রুম, অফিস রুম থাকবে। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউস, রেডিসন ব্লু, চিটাগাং বে ভিউ মিলে শহরের প্রাণকেন্দ্র আউটার স্টেডিয়াম। তাই দেশিবিদেশি ট্যুরিস্টদের জন্য একটি তথ্যকেন্দ্র (কিউ) রাখতে চাই। যাতে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র, দর্শনীয় স্থান, হোটেলমোটেল, পরিবহন সংস্থার পুস্তিকা থাকবে। ট্যুরিস্টরা কোথায় যাবে, কোথায় খাবে, কোথায় থাকবে এসব ধারণা পাবে।
মাঠের কাজটি এমনভাবে করা হবে যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে। এটি অনেক ব্যয়বহুল। প্রথমত সুইমিং পুলের যে স্থাপনা তার লেবেলের সঙ্গে মিল রেখে কাজগুলো করা হবে। একটি ২০৫০ জনের উপযোগী মুক্তমঞ্চ রাখা হবে। ছাড়া মাঠে প্র্যাকটিস করে যারা জাতীয় তারকা হয়েছেন, কাজীর দেউড়ি নামকরণের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে সার্কিট হাউসে যে একদিন পর পতাকা উড়েছিল সেই ইতিহাসসহ অনেক কিছু তুলে ধরা হবে।
মেয়র বলেন, এখন মাঠের যে অবস্থা তা খুবই করুণ। একদিকে আবর্জনার ভাগাড়। একদিকে বাঁশের স্তূপ। ধোপাদের কাপড় শুকানোর কর্মচাঞ্চল্য। মাঠের ভেতর ট্রাকের সারি। ড্রাইভিং সেন্টারের গাড়ির অবাধ চলাচল। আবার হাজারো শিশুকিশোরের হইচই। শত শত মানুষের দাঁড়িয়ে উপভোগ। জীর্ণশীর্ণ ব্যস্ত টয়লেট। সেই জায়গায় এখন আমরা একটি স্বপ্নপুরি সাজাতে চাই

পাঠকের মতামত: