ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের তালিকা তৈরীতে কারিতাসের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

Chakaria Picture 17-10-17চকরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরীতে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান আরজ খাতুন।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় মোরা তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও অস্বচ্ছল, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা এবং বিধবা পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে এনজিও সংস্থা কারিতাসের পক্ষ থেকে পরিবার প্রতি গৃহ নির্মাণের জন্য ২০হাজার করে টাকা অনুদান দেয়ার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের আওতায় এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সনাক্ত করে সংস্থার পক্ষথেকে মোরা আক্রান্তদের টাকা দেয়ার জন্য তালিকা প্রণয়নও করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, তালিকা তৈরীতে এনজিও সংস্থার মাঠকর্মী ও তাদের সহযোগি কিছু দালাল প্রকৃতির লোকজন কাজ করেছে। এতে বড় ধরণের অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরজ খাতুন। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তালিকা তৈরীতে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিয়োগ তুলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

প্যানেল চেয়ারম্যান আরজ খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ও ৪নম্বর ওয়ার্ডে ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারে গৃহনির্মাণ করে দেয়ার জন্য কারিতাস এনজিও সংস্থা মাঠ পর্যায়ে তালিকা প্রণয়ন করেন। তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ এবং টাকা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে বাদ দিয়ে বিত্তবান, স্বচ্ছল, প্রবাসী ব্যক্তির নাম লিপিবদ্ধ করেন। এমনকি তালিকা তৈরীর ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে কারিতাস এনজিওর অসাধু কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিষদের চার নম্বর মেম্বার মোহাব্বত আলী কালুসহ স্থানীয় দালাল প্রকৃতির কিছু লোকজন।

তিনি আরো বলেন, তালিকা তৈরীতে অনিয়মের বিষয়টি সম্প্রতি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্থানীয় ভোক্তভোগী লোকজন অভিযোগ করেছেন। এসব অনিয়ম খতিয়ে দেখতে এখনো সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কোন ধরণের তদন্ত কমিটি হয়নি। ফলে বহাল তবিয়তে রয়েছে ঘটনার সাথে জড়িতরা।

প্যানেল চেয়ারম্যান আরজ খাতুন অভিযোগ করেছেন, এনজিওর কাছ থেকে টাকা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভনে প্রতারক চক্রের মাধ্যমে দরিদ্র জনগণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উৎকোচ গ্রহনের গোপনীয়তা রক্ষায় কতিপয় ইউপি সদস্য ও এনজিও কর্মচারীরা তৃতীয় একজন ব্যক্তিকে ব্যবহার করছে। তিনি দাবি করেন, গৃহ নির্মাণের অনুদান পাইয়ে দেয়ার আশ^াসে প্রতি পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে।#

পাঠকের মতামত: