ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কালারমারছড়ায় জিয়া বাহিনীর শতাধিক রাউন্ড ফাকাঁ গুলি বর্ষণ আহত-৫, ৩০ লাখ টাকার মাছ লুঠ

songarsছালাম কাকলী, মহেশখালী :::

সাগরদ্বীপ মহেশখালীর কালারমারছড়ায় জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়ার নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসীর দল চেয়ারম্যান তারেক শরীফের চিংড়ি ঘের সহ ৫টি ঘেরে শতাধিক ফাকাঁ গুলি বর্ষণ করে প্রায় ৩০লাখ টাকার মাছ লুঠ করে নিয়ে গেছে। তাদের মারধরে ঘেরে কর্মরত ৫জন শ্রমিক মারাত্বক আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছে শামসুল আলম(৩৫), আজগর(২৮),  একরাম(২৯), জিয়াবুল(৪০) ও বেলাল উদ্দীন(৪৫)। এ ভয়াবহ গঠনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে।

কালারমারছড়ার ৫জইন্যা চিংড়ি ঘেরের পরিচালক সুমন, মাস্টার আজিজ ও মাস্টার নুরুল হক জানান, কালারমারছড়ার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী’লীগ নেতা ওসমান গণি ওসমান, মৌলভী আব্দুল গফুর সহ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মোহাম্মদ শরীফ এর পরিবারের ৫জনকে জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়ার সদস্যরা হত্যা করে। এ বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী’লীগ নেতা ওসমান চেয়ারম্যানকে হত্যা করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবার পর ওসমান চেয়ারম্যানের পুত্র তারেক শরীফের নেতৃত্বে গত ৪বছর ধরে এলাকাকে শান্ত রাখে। চলতি বছর গেল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী’লীগের প্রার্থী সেলিমকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে তারেক বিন ওসমান শরীফ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সেলিম চৌধুরীর নির্দেশে জিয়া বাহিনীর শতাধিক অস্ত্র ধারী সন্ত্রাসীদেরকে গত ১৬ অক্টোবর বিকালে কালারমারছড়ার ক্যাডার দিয়ে বদরখালী থেকে সোজা কালারমারছড়ার হউষ্যা বাপের পাড়ায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতে ব্যাপক ফাকাঁ গুলি বর্ষণ করে এলাকায় ভিতি সৃষ্টি করে। ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে ঐ সন্ত্রসীর দল প্রকাশ্যে গুলি করতে করতে তারেক চেয়ারম্যানের পরিচালনাধীন ৮ জইন্যা চিংড়ি ঘোনা ও ১৪ জইন্যা ঘোনা, ডাউক্যা ঘোনা ও লম্বা ঘোনা দখল করে নেয়। পরপর দখল করে নেয় সুমনের পরিচালনাধীন ৫জইন্যা ঘোনাও। এই ৫টি চিংড়ি ঘের দখল করার সময় সন্ত্রসীরা অন্তত পক্ষে শতাধিক ফাকাঁ গুলি বর্ষণ করলে কর্মরত শ্রমিকরা দিকবিদিক পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের মারধরে আহত হয়েছে ৫ জন শ্রমিক। দীর্ঘক্ষণ তান্ডব চালিয়ে সন্ত্রসীরা লুঠ করে নেয় ৩০লাখ টাকা মূল্যের চিংড়ি মাছ ও বিভিন্ন মালামাল। সংবাদ পেয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের নির্দেশে মহেশখালী থানার একদল পুলিশ ১৭ অক্টোবর দুপুরে লুঠপাঠের ঘটনাস্থল চিংড়ী ঘেরে গেলে সন্ত্রাসীরা ট্রলার যোগে পালিয়ে যায়। এদিকে মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান হোছাইন ইব্রাহীম সাংবাদিকদের জানান, গত ক’য়েকদিন ধরে সন্ত্রাসীরা কালারমার ছড়া বাজার এলাকার লোকজনকে নির্বিচারে মারধর করায় দু’দিন ধরে কালারমার ছড়া বাজারের প্রায় অর্ধ-শতাধিক দোকান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া তারা আমার ভাইপো তারেক শরীফ চেয়ারম্যান এর মালিকানাধীন ২টি কাপড়ের দোকান, ব্যক্তিগত ১টি অফিসে তালা ঝুলে দিয়েছে। পুলিশের এ রহস্যজনক আচরণ দেখলে মনে হয় , কক্সবাজার প্রথম শহিদ মুক্তিযোদ্ধা মো: শরীফ চেয়ারম্যান এর পরিবারকে নিধনে নেমেছে। অপরদিকে ছালিয়াতলির বাসিন্দা নৌকা ছৈয়দ জানান , গেল ইউপি নির্বাচনে সেলিম চৌধুরীর পক্ষে ছিলাম। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান তারেক শরীফের বিপক্ষে ছিলাম। অথচ সেলিম চৌধুরীর নিদের্শে কালারমারছড়ায় গিয়ে সন্ত্রাসীরা কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবণের দরজা-জানালা ভাংচুর , জিয়া বাহিনীকে নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়া , বাজারের লোকজনের উপর নির্বিচারে গুলি করা, জিয়া বাহিনীকে দিয়ে চিংড়ী ঘের দখল করা ও তারেক চেয়ারম্যান এর মালিকানাধীন দোকানে তালা ঝুলে দেয়া মোটেই কাম্য নয়। কালারমারছড়ার শান্ত পরিবেশকে বর্তমানে এ বাহিনী অশান্ত করে ফেলেছে। এদিকে মহেশখালী থানার ইনসার্জ প্রদীপ বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চিংড়ী ঘেরে লুঠপাঠ হওয়ার ঘটনা শুনে মহেশখালী থানা ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠানো হয়েছে । বর্তমানে সেখানে একদল পুলিশ রয়েছে।

পাঠকের মতামত: