ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বিশ্বখাদ্য দিবস ও ইদুর নিধন অভিযান উদ্বোধন

aaaaaaaএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য দিবস ও উপজেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে মাস ব্যাপী জাতীয় ইদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ১৬ অক্টোবর সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আতিক উল্লাহ, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন। সভায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান, এনজিও প্রতিনিধি,সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেছেন, আওয়ামীলীগ একটি কৃষিবান্ধব সরকার। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে সব ধরণের ভুর্তকি প্রথা চালু করেছে। চাষাবাদ করতে গিয়ে কৃষকদের যাতে কোন ধরণের সমস্যা না হয় সেইজন্য সরকার সম্ভব সব ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে সারের জন্য কৃষিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কৃষকের ঘরে ঘরে সার পৌঁছে দেয়া হয়। কৃষিকে নানা প্রণোদনা দেয়া হয়। তিনি বলেন, সরকারের সার্বিক প্রচেষ্ঠার কারনে আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। দেশ থেকে বিদেশে চাউল বিক্রি করা হচ্ছে। বিএনপি-জামাত ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার মুর্হুতে দেশে চরম খাদ্য সংকট ছিল। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব সরকারের শাসনামলে দেশে কোন ধরণের খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই। আগামীতেও খাদ্য উৎপাদনের এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে ক্ষেতের পোকা মাকড় নিধনের পাশাপাশি ইদুর নিধন কার্যক্রম বেগবান করতে হবে। এইজন্য কৃষি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও কৃষকরা সজাগ ভুমিকা পালন করলে সরকারের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। #

পাঠকের মতামত: