ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে পশু চিকিৎসকদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন

ইমাম খাইর, কক্সবাজার ::Veterinary-conference-Pic_1-1
ভেটেরিনারি বা পশু চিকিৎসকদেরকে পেশাগত দক্ষতা বজায় রাখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হালনাগাদ জ্ঞান রাখতে হবে। তাদের বেশিরভাগ পেশাগত জ্ঞান অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত হলেও চলমান শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আত্নউদ্দীপনামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম এবং আলোচনা সভা ও কোর্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা পেশায় আরও ভাল করতে পারেন।
ভেটেরিনারি চিকিৎসকের চলমান শিক্ষার এ প্রয়োজনকে সামনে রেখে কক্সবাজারের ইনানীতে অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে দুদিনের জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) শুরু হওয়া দুই দিনের সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় ৫০০ পশু চিকিৎসক অংশ গ্রহণ করেছে। সম্মেলনে আলাচনায় ৫ টি বিষয় স্থান পেয়েছে। বিষয়গুলো হলো- রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের নীতিসমূহ, পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ও ব্যবস্থাপনা, পশুর প্রজনন ব্যবস্থাপনা-পশু পালকের স্বাস্থ্য সেবা এবং বন্যপ্রাণীর স্বাস্থ্য সেবা।
ইউএসএআইডির আর্থিক সহায়তায় এবং জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) সহযোগিতায় প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর এবং ন্যাশনাল ভেটেরিনারি ডিন কাউন্সিল সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আইনুল হক, ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. ডেভিড ডুলান, ন্যাশনাল ভেটেরিনারি ডিনকাউন্সিলের আহ্ববায়ক অধ্যাপক প্রিয়া মোহান দাস, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. মেহেদি হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান, এফএও ইসিটিএডির কান্ট্রি টিম লিডার ড. এরিক ব্রাম এবং এফএও ইসিটিএডির সিনিয়র কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক নিতিশ চন্দ্র দেবনাথ।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়- ভেটেরিনারি চিকিৎসকের দক্ষতাকে আরও সমৃদ্ধ করা, অগ্রসর পেশাগত জ্ঞান অর্জনকে উৎসাহিত করতে দুদিনের এই সম্মেলন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা চলমান শিক্ষার উপকারিতা সম্পর্কে ভালভাবে জেনেছে এবং ভবিষ্যতের চলমান শিক্ষা কর্মসূচির রোডম্যাপ তৈরির দীক্ষা পায়।
বক্তারা আরো বলেন- পশু চিকিৎসার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ সংক্রান্ত সেবা, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ যাতে একসাথে কাজ করতে পারে তার জন্য প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একটি যৌথ প্রকল্প রয়েছে।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- ভেটেরিনারি সেবা শক্তিশালীকরণ ও সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো। প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের ভেটেরিনারি বিদ্যালয়গুলোতে কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল এর কারিকুলাম, শিক্ষাদান ও গ্রহণ পদ্ধতি উন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসকদের চলমান শিক্ষা কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে ভেটেরিনারি শিক্ষার উন্নয়ন এবং জাতীয় ভেটেরিনারি অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতি প্রবর্তনেরও উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।

পাঠকের মতামত: