ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঝুঁকি নিয়েছি বলে দেশে গণতন্ত্র এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক ::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধান বিচারপতিদের নিয়ে এ ধরনের খেলা অতীতে বারবার হয়েছে। ৯৬ থেকে আমরা ক্ষমতায় আসার পর যতজন বিচারককে নিয়োগ দিয়েছিলাম এক দিনে দশজন বিচারককে কনফার্ম করা হল তাদের পত্রপাঠ বিদায়। আমাদের নিয়োগকৃত সবাইকে তারা বিদায় দিয়ে দিল। অবশ্য কয়েকজন রিট করে কয়েকজন ফেরত এসেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এক এগারোর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পরবর্তীতে আমরা দেখলাম প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে দেয়া হলো ৬৫ থেকে ৬৭। যাতে করে ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামে যেটা করা হয়েছিল তার উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে করা যায়। সেজন্য তাদের দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক সম্পাদক কেএম হাসান তাকে বানাল। শেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি করার জন্য চক্রান্ত করল। যাতে প্রধান উপদেষ্টা হয়ে তাদের ভোট চুরির সুযোগ করে দেন।
ওই সময়কার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন একজন বিচারপতিকে প্রেসিডেন্ট ডেকে চা খাইয়ে বললেন যে, আপনি পদত্যাগ করেন। এই যে অনিয়মগুলি আমরা প্রতিবাদ করার একদিন পরেই আমাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হল। তারা ওয়ারেন্ট বা সার্চ ওয়ারেন্ট কিছুই দেয়নি। তারা গায়ের জোরে আমাকে গ্রেপ্তার করল ও বাসা সার্চ করল। একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া শুরু করল। কিন্তু তারপরও আমরা থেমে থাকিনি।
বিভিন্ন সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে সেজন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি। এক এগারোর সময় বলা হয়েছিল আমি ঢাকায় নামলে গুলি করা হবে বা কোথাও ফেলে দেওয়া হবে। আমি এসবের পরোয়া করিনা। আমার সবাই মারা গেছেন। আমরা দুটো বোন ছাড়া। দেশের মানুষের জন্য যখন কাজ করতে এসেছি তখন কে মারবে এসব চিন্তা করে লাভ নেই। যতক্ষণ শ্বাস আছে দেশের জন্য কাজ করে যাব এবং গণতন্ত্রের কথা বলে যাব। তিনি আরও বলেন, আমার ফিরে আসার সময় অনেকে প্রশ্ন করেছিল আমরা দেশ ছেড়ে পালাই কিন্তু আবার যাচ্ছেন কেন? আমার ভেতরে এতটুকু আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমার বিরুদ্ধে মামলা দেবে, ওয়ারেন্ট দেবে, আমিতো লুকিয়ে থাকব না। দেখি যা হবে হবার হবে। আমরা তখন যদি এই ঝুঁকি না নেই তখন দেশে নির্বাচনও হয়না, আবার গণতন্ত্র ফিরে আসেনা।

পাঠকের মতামত: