ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন হয় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত!

87464_Ctg-3,-(14.10.17চট্রগ্রাম প্রতিনিধি ::

একটি-দুটি নয়, একাধিক কারণে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুন করা হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সূদীপ্ত বিশ্বাসকে। এমনটাই জানিয়েছেন সুদীপ্ত হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতা মোক্তার হোসেন।

গত ১৩ই অক্টোবর শুক্রবার রাতে নগরীর বড়পোল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন।

এস এম মোস্তাইন হোসেন গ্রেপ্তারকৃত মোক্তার হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সুদীপ্ত বিশ্বাসের সঙ্গে তার কোন শত্রুতা নেই। দলীয় কোন্দলের কারণে সুদীপ্ত বিশ্বাসের সাথে একাধিক ছাত্রলীগ নেতার শত্রুতা সৃষ্টি হয়। যাদের সাথে সখ্যতার কারণে তিনি সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেন।

মোক্তার হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে সূদীপ্ত বিশ্বাস হত্যার মুল হোতা ও জড়িতদের নাম বলেছেন। কারণগুলোও পুলিশকে জানিয়েছেন। এরমধ্যে ফেসবুকের একটা বিষয় ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন। তবে একমাত্র সে কারণেই খুন হল কিনা তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারিনি। সব কারণই আমরা খতিয়ে দেখছি বলে জানান এস এম মোস্তাইন হোসেন।

তিনি বলেন, সুদীপ্তের কয়েকজন শত্রু মোক্তার হোসেনকে(২৯) এই খুনে ব্যবহার করেছেন। শুধু তাই নয়, তাদের কথায় সাড়া দিতে গিয়ে নগরীর আরো কয়েকটি হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মোক্তার হোসেন।

খুনের কারণগুলোর সঙ্গে জড়িতদের নামগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে জানিয়ে এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, এ হত্যাকান্ড থেকে আরও কয়েকটি হত্যকান্ডের রহস্য উদঘাটন হতে পারে। তবে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে সুদীপ্ত খুনের মামলায় মোক্তার হোসেনের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

নগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া মোক্তার হোসেনের সেলফি তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাইন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিচিতি বা দলের মধ্যে তার কোন পদ নেই। আর ওপেন প্রোগ্রামে যে কত লোক যায়, আর সেলফি তুলে তার কোন হিসাব নাই।

মামলা তদন্তে রাজনৈতিক চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার আটদিনের মাথায় একজন প্রত্যক্ষ আসামি গ্রেপ্তার করলাম। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় আমাদের ওপর কোন রাজনৈতিক চাপ নেই। কোন চাপের মাধ্যমে এরকম একটি হত্যাকান্ডের তদন্ত চাপিয়ে রাখা যাবে না।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ, সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) জাহাঙ্গীর আলম, সদরঘাট থানার ওসি মর্জিনা আখতার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) রহুল আমিন এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ায় সুদীপ্ত বিশ্বাসকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার আটদিনের মাথায় পুলিশ মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। মোক্তার হোসেনের দেওয়া তথ্যে নগরীর বহু অপরাধ-কর্মকান্ডের রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন সিএমপির উর্ধ্বতন কর্তারা।

পাঠকের মতামত: