ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া বনাঞ্চলে নিধনকৃত ৭ টুকরো সেগুন ও ২১ ঘনফুট গর্জন গাছ উদ্ধার

katএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী রেঞ্জের ডুলাহাজারা বনবিটের অধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে নিধনকৃত দুটি সেগুন গাছের অংশ বিশেষ অবশেষে উদ্ধার করেছে বনকর্মীরা। গতকাল দুপুরে থানা পুলিশের সহায়তায় ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা রাজিব ইব্রাহিমসহ বনকর্মীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চকরিয়া পৌরসভার মৌলভীরকুম বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় মৃত মোহাম্মদ কালুর ছেলে ফরিদুল আলমের বাড়ি থেকে ৭ টুকরো সেগুন গাছ উদ্ধার করেন।

ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, বাগান থেকে গাছ দুটি কেটে লুটে নেয়ার পর থেকে আমরা চোরদের সনাক্ত ও লুন্ডিত গাছ গুলো উদ্ধারে অভিযান শুরু করি। অবশেষে গতকাল দুপুরে থানা পুলিশের সহায়তায় চকরিয়া পৌরসভার মৌলভীরকুম এলাকার একটি বাড়ি থেকে কেটে নেয়া সেগুন গাছের সাতটি মাথা উদ্ধার করি। উদ্ধারকৃত এসব গাছের পরিমাণ প্রায় ১২ঘনফুট। তিনি বলেন, বনাঞ্চল থেকে গাছ গুলো কেটে নেয়ার ঘটনায় চকরিয়া পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বিনামারা গ্রামের বাসিন্দা ফজল করিম ও মোহাম্মদ করিম নামের দুই চোরাকারকারীকে ইতোমধ্যে সনাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ভাড়াটে শ্রমিক ব্যবহার করে রাতের আঁধারে বনাঞ্চল থেকে গাছ দুটি কেটে নেয়। বনবিভাগের পক্ষ থেকে জড়িত চোরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা রাজিব ইব্রাহিম বলেন, গতকাল বিকালে বনবিটের অধীন মালুমঘাট রির্জাভপাড়া গ্রামের কালু হেডম্যানের বাড়ির পশ্চিম এলাকা থেকে কর্তনকৃত ২১ ঘনফুট গর্জন গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। বনাঞ্চলের ভেতর ঝড়েপড়া ও শুকিয়ে যাওয়া কয়েকটি গাছ কেটে চোরের দল পাচারের চেষ্ঠা করছিলো। খবর পেয়ে এসব গাছ উদ্ধার করা হয়।

পাঠকের মতামত: