ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে আটকের পর লাখ টাকা ছিনতাই, অভিযোগে এসআইসহ ২জনের বিরুদ্ধে মামলা

mamla.এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে তুলে নিয়ে পুলিশ ফাঁিড়তে আটকিয়ে রাখার পর নানাভাবে ভয় দেখিয়ে নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পুলিশের এসআই আমিনুল হক ও তাঁর সহযোগি পুলিশ র্সোস মোহাম্মদ বেলাল। গত ৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক নয়টার দিকে মাতারবাড়ি পুলিশ ফাঁিড়তে ঘটেছে এ ঘটনা। ওইদিন রাতে আক্রান্ত ব্যবসায়ী তাঁর শ^াশুড়ী আয়েশা বেগমের নামাজে যানাজা শেষে একটি সিএনজি গাড়িতে করে মাতারবাড়ি থেকে চকরিয়া সদরে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন।

পুলিশ ফাঁিড়তে নিয়ে গিয়ে আটক রাখার পর নানাভাবে ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আক্রান্ত ওই ব্যবসায়ী বাদি হয়ে কক্সবাজার জজ আদালতে একটি মামলা করেছেন। ছিনতাইসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দায়ের করা এ মামলায় আসামি করা হয়েছে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি পুলিশ ফাঁিড়র আইসি এসআই আমিনুল হক ও তাঁর সহযোগি (পুলিশ র্সোস) ওই এলাকার মগডেইল গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ বেলাল। এছাড়াও মামলার এজাহারে আরো ৪-৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বাদি পক্ষের কৌশলী কক্সবাজার জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি মোহাম্মদ জকরিয়া বলেন, আদালতের বিচারক বাদি আক্রান্ত ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বাদি চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাতারবাড়িস্থ নিজবাড়িতে তাঁর শ^াশড়ি মারা যান। ওইদিন রাত ৯টায় তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে বাদি কয়েকজন নিকট আত্মীয়কে সাথে নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে শ^াশুড় বাড়ি থেকে নিজবাড়ি চকরিয়ায় ফিরছিলেন।

এজাহারে বাদি জানান, তাদের বহর করা সিএনজি গাড়িটি মাতারবাড়ি দারাখালের সেতুর উপর পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা এসআই আমিনুল হক ও সহযোগি বেলালসহ আরো কয়েকজন মিলে সিএনজি গাড়িটির গতিরোধ করে। পরে গাড়ি থেকে বাদিকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে নিকটস্থ ফাঁিড়তে নিয়ে যায়।

বাদি এজাহারে আরো জানান, পুলিশ ফাঁিড়তে নিয়ে আটকে রাখার পর নানাভাবে ভয় দেখাতে থাকে অভিযুক্ত বিবাদি পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা বাদির (ব্যবসায়ীর) প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাঁরা বাদির কাছ থেকে তিনশত টাকা মুল্যমানের একটি খালী স্ট্যাম্পে জোরপুর্বক স্বাক্ষর আদায় করে তাকে ছেঁেড় দেন। #

পাঠকের মতামত: