ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে বহিরাগত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানোর উদ্যোগ নেই, অপরাধ-অপকর্ম বৃদ্বির আশংকা

eidguএম আবুহেনা সাগর, নিজস্ব প্রতিনিধি, ঈদগাঁও ::

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানের উপর নির্মম  নির্যাতন, নিপীড়ন,গনহত্যার পর দেশত্যাগ করে প্রানভয়ে পালিয়ে আসা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফ,উখিয়া সহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়ার পর রোহিঙ্গারা জেলা সদরের বৃহৎ এলাকা ঈদগাঁওর পাড়া মহল্লা ও ভাড়াবাসায় কৌশলী হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছে। এতদিন ধরে অবস্থান করা বহিরাগত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পাঠানোর কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছেনা।  তারা গ্রামাঞ্চলের বাড়ীঘরে অনেকটা ছড়িয়ে ছিড়িয়ে রয়েছে । যাদের কারনে দেশীয়রা কোণঠাসা হয়ে পড়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হবে বলে মত প্রকাশ করেন এলাকার সুশীল সমাজ। প্রাপ্ত তথ্য মতে,ককসবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নানা ভাবে আশ্রয় নিয়েছে ওপার থেকে পালিয়ে আসা  রোহিঙ্গারা। তবে পূর্বে চলে এসে এলাকায় ছড়িয়ে ছিড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের বাড়ীঘরে সাম্প্রতিক সময়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা হরেক রকম কৌশল অবল্ম্বন করে অবস্হান করছে। অন্যদিকে ওরা ঈদগাঁও বাজার, বাশষ্টেশন সংলগ্ন বিভিন্ন কলোনীসহ পাশ্ববর্তী উপ বাজারের যএতএ এলাকায় অবস্হান করছে বলে এক সূএে প্রকাশ। এদিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভাদিতলায় আসা প্রায় পাঁছ  শতাধিক রোহিঙ্গা স্হান নিয়েছে বলে জানান এলাকার হতদরিদ্র কয়েক ব্যাক্তি । পাশাপাশি শিয়াপাড়া, দরগাহ পাড়া, হাসিনা পাহাড়,মেহেরঘোনা সহ নানা পাড়া গাঁয়ে এদের অবস্হান ও রয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারনে সামাজিক সংকট সহ অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার আশংকা ও প্রকাশ করেন এক চিকিৎসক।  এলাকাতে বর্মী রোহিঙ্গাদের অবস্হানের ফলে মাদকের ছড়াছড়ি, আইন শৃংখলার চরম অবনতি হওয়ার শংকা প্রকাশ করেন এলাকার সাধারন লোকজন। তবে  গ্রামাঞ্চল থেকে ওদেরকে সনাক্তকরণ পূর্বক তাদের বিরুদ্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়ে পড়েছে । দেখা যায়, রোহিঙ্গারা ঈদগাঁওর পাহাড়ী এলাকায় স্থান নিলেও দিনের বেলায় ভিক্ষা করে পরিবার পরিজনের ভরন পোষন চালাতে। এলাকার পাড়া গাঁয়ে রোহিঙ্গারা নানা ভাবে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে যাচ্ছে। ওপার থেকে আসা নর নারীরা এখানে বিষফোঁড়া হয়ে দাড়াবে বলে মনে করেন অসহায় লোকজন। তারা এখানে এসে দেশীয়দের সাথে মিশে গিয়ে হরেক রকম কাজে কর্মে সুযোগ করে নিচ্ছে। বৃহত্তর এলাকায় তারা কৌশলে অবস্থান করে সুযোগ পেলে অপরাদ অপকর্ম সংগঠিত করে নিরবে স্থান ত্যাগ করার  আশংকা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।  ঈদগাঁও ইউনিয়নের এমইউপি কামাল উদ্দিন জানান, তার ওয়াড ভুতিয়ার পাড়ায় শতকরা ১০ ভাগ রোহিঙ্গায় ছেয়ে গেছে। পূর্বে আসা রোহিঙ্গাদের বসতবাড়িতে মায়ানমারে সহিংসতার ভয়ে পালিয়ে আসা নতুনরাও নয়া কৌশলে অবস্হান করছে, সে সাথে এলাকায় বহু পূর্বে অনেক রোহিঙ্গা ভোটার ও হয়েছিল বলে জানান। আবার একই ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার জান্নতু দেশ বিদেশের এ প্রতিনিধিকে জানান, মেহেরঘোনা ও চান্দেঁর ঘোনা এলাকায় শতকরা ২০ ভাগ রোহিঙ্গা অবস্হান করছে। ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নাপিতখালী মেম্বার সাহাব উদ্দিন জানান, তাঁর ওয়াড়ে কিছু কিছু নতুন – পুরাতন রোহিঙ্গা রয়েছে। জুম নগর শতকরা ২/৩ ভাগ রোহিঙ্গাদেরকে দেখা যাচ্ছে বলে জানান মেম্বার আবদু শুক্কুর। ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, ওপার থেকে আসা রোহিঙ্গারা আসলেই ঈদগাঁও এলাকার প্রায় গ্রামে প্রবেশ করছে কৌশলে। তাদের কারনে এলাকায় অসাজিক কার্যকলাপ চুরি , ডাকাতি বৃদ্বি পাবে। স্ব স্ব এলাকার সচেতন মানুষ আর জনপ্রতিনিধি মিলে যদি এলাকায় অবস্থান করা  রোহিঙ্গাদেরকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট করে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শর্রনাথী ক্যাম্পে প্রেরন করা হলে ভাল হয়। এলাকার সচেতন লোকজনের মতে, মানবিক কারনে তাদেরকে এলাকায় আশ্রয় হিসেবে দিয়েছি। তবে দেশ ও এলাকার ভাবমুর্তি নষ্ট করছে কিনা সেটি তারা ভাল ভাবে দেখভাল করছেন বলে জানান। অন্যদিকে এলাকার লোকজনের মতে, স্থানীয় প্রসাশন যদি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্বে কঠোর অবস্থান নেন, তাহলে এলাকা থেকে এদের সরানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা। সুধী মহল সূএ মতে, বৃহত্তর ঈদগাঁওতে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদেরকে শরণার্থী ক্যাম্পে প্রেরনের উদ্যেগ দেখা যাচ্ছেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নারী দাস্তোক্তি ভাষায় জানান, ক্যাম্পে চলে যেতে হলে যাব তাতে সমস্যা কি বলে উল্লেখ করেন । পাশাপাশি বিভিন্ন ভাড়া বাসায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গারা বাসা ছাড়তে রাজি না। এদিকে তদন্ত কেন্দ্রর ইনর্চাজ খায়রুজ্জামান জানান, ঈদগাঁওতে বহিরাগত রোহিঙ্গাদের কোন ভাবেই ঠাই দেওয়া হবেনা। অভিযান হবেই ।

পাঠকের মতামত: