পূজা লাবণ্য, চকরিয়া ::
চকরিয়া পেৌরসদরের পুর্বপাশের মাতামুহুরী ব্রীজের নীচে মাতামুহুরী নদীতে প্রতিমা বির্জসন অনুষ্ঠানকে ঘিরে লাখো মানুষের মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে প্রতিমা বির্সজন অনুষ্ঠানে নদীর চরে ঢল নামে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের। নদীতে প্রতিমা বির্সজনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে শারদীয়া দুর্গোৎসবের। এতে শুধুমাত্র সনাতন সম্প্রদায় নয় । মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্ট্রান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষরাও ভাগাভাগি করে আনন্দ। এভাবেই শারদীয়া দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে চকরিয়ায় ।
প্রতিমা বিসর্জন পূর্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, বিসর্জন অনুষ্টান শুধু একটি ধর্মের লোকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই । তার প্রমাণ মাতামুহুরীর চরে উপস্থিত বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার নারী-পুরুষের আগমন। এই উৎসব আগামীতে আরো ব্যাপকতা পেয়ে মহামিলন মেলায় পরিণত হবে ।এদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
চকরিয়া দুর্গা মায়ের প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে সভাপতি প্রদীপ কান্তি দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল বিহারী নাথের সঞ্চলানায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়। অনুষ্ঠানে শুভ উদ্বোধন করেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মো.আলমগীর চৌধুরী, বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সহসভাপতি মোকতার আহমদ চৌধুরী, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক জামাল উদ্দিন, চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরিমন্দির উপদেষ্টা ডা: তেজেন্দ্র লাল দে, বাবু ধনরঞ্জন দাশ, হারাধন দাশ, নন্দরাম ধর, পেকুয়া কলেজের অধ্যাপক বাবু সুজন কান্তি নাথ, চকরিয়া পৌরসভা পুজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি বাবু সুজিত দাশ প্রমুখ।
অনুষ্টানে উপজেলার ১৮টি মন্ডপ থেকে প্রতিমা আনা হয় । বিসর্জন পূর্বে চট্টলার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী আছমা ছিদ্দিক ও নিগার সোলতানার গানের তালে পুজারীরা নাচেন এবং একে অপরকে রং মাখিয়ে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন । সন্ধ্যায় মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় মাতামুহুরী নদীতে।
পাঠকের মতামত: