ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মীসহ ডজনাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে হয়রানী মামলা

mamla.নিজস্ব প্রতিনিধি, ঈদগাঁও ::

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে জনপ্রতিনিধি , সংবাদকর্মী সহ নিরীহ আরো দশজন এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করায় ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা। প্রশাসন সঠিক তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন না দিলে,পরবর্তীতে সংঘাত সৃষ্টির আশংকা প্রকাশ করেন সচেতন মহল। সূত্র মতে,ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিন মেহেরঘোনা এলাকার মৃত ইসমাইলের পুত্র মোঃ ইব্রাহীম প্রতিদিনের ন্যায় মাতাল অবস্থায় বিভিন্নজনকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এমনকি স্থানীয় কয়েকজন কাঠুরিয়া কাঠ সংগ্রহ করে আসার পথে তাদেরকেও গালিগালাজ সহ হামলার চেষ্টা চালায়, তারা বিষয়টি স্থানীয় এমইউপি মিজানুর রহমান মহসিনকে অবগত করলে সে তাৎক্ষনিক স্থানীয় কয়েকজন যুবকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ইব্রাহীমকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে  সোপর্দ করে। ঐ দিন একটি মহল ভাল পথে ফিরে আসার অঙ্গীকার নামা দিলে ইব্রাহীম তাতে ছাড় পায়। খবর পেয়ে দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকার প্রতিনিধি মিছবাহ উদ্দিন রিপোর্ট করার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে ঐ তুচ্ছ ঘটনাকে ঘিরে মেম্বার, সংবাদকমী, কাঠুরিয়াসহ ডজনাধিক জনকে আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে (যার নং ৯২০)।
মামলার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকা লোকজনের মাঝে অজানা ক্ষোভ বিরাজ করছে । তাদের দাবী, প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করলে ঘটনার মুল রহস্য বেরিয়ে আসবে। এমনকি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার প্রতি আহবান জানান। এদিকে অপর নয়জন দিনমজুরকে ঐ মামলায় আসামী করায় তাদের পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুর্দিন। গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। তাদের পরিবার পরিজন অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।  অন্যদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে আসামী করায় দৈনন্দিন বিচার কার্যক্রম ও পরিষদের কর্মকান্ড চালাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ইব্রাহীমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দেবাশীষ সরকারের মতে, মামলাটি নিরপেক্ষভাবে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন পাঠানো হবে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: