ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

টেকনাফে নৌকা ডুবিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১শ ৫০ রোহিঙ্গার মৃত্যু, মাঝি-মাল্লা ও দালালের কারণে বদনাম হচ্ছে সবার

এম আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ ::rohi-3

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া গ্রামের তজিল আহমদের পুত্র জাগির হোসেন একজনের কারনে বদনামে ভাসছে সারা এলাকা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে দালালি ও ব্যবসা করা যার একমাত্র কাজ। ২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উখিয়ার পাটুয়ারটেক এলাকায় জাগিরের নিজস্ব ফিশিং বোট ডুবির ঘটনা ঘটে। এ দূর্ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ২০ নারী ও শিশুর মরদেহ ইনানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয় । এতে নিখোঁজ রয়েছে আরো অনেক রোহিঙ্গা। রাজারছড়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন তজিল আহমদের পুত্র জাগির হোসেন একজন লম্পট, বখাটে ও চিহ্নিত দালাল। জাগির নিজস্ব ৩ টি ফিশিং বোটের মাধ্যমে বঙ্গোপ সাগর দিয়ে রোহিঙ্গাদের এনে রাজারছড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে জমায়েত করে রোহিঙ্গা নারীদের স্বর্ণ, দামী আসবাবপত্র কেড়ে নেয়ায় ছিল তার চলমান কাজ। জাগির তার নিজস্ব ৩ টি ফিশিং বোট পরিচালনাসহ রোহিঙ্গা ছিনতাইয়ে গঠণ করে একটি সিন্ডিকেট। তার সিন্ডিকেট বার্মা গিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা গরু, ছাগল এমনকি মোরগ পর্যন্ত নিয়ে আসে। জাগিরের পার্শ্ববর্তী এক মহিলা বলেন প্রায় সময় তার বাড়েিত রোহিঙ্গা জমায়েত করে নির্যাতন করা হয়, তার মারধরের শিকার রোহিঙ্গাদের কান্না শুনে আমরাও অনেকবার কেঁেদছি।

২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উখিয়ার পাটুয়ারটেক এলাকায় যে ফিশিং বোট ডুবেছে তার মাঝি ছিল জাগির। নৌকা ডুবিতে জাগির আহত হয়ে পাটুয়ারটেক পরিচিত একজনের বাড়ীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। তার বাবা তজিল আহমদ নিজেও পুত্রের এ ঘটনায় হতাশ বলে জানা গেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা যখন আসতে শুরু করে তখন জাগির হোসেন বাহারছড়া হাজম পাড়া গ্রাম থেকে রোহিঙ্গা আমদানীর টার্গেট নিয়ে ৩ টি ট্রলার ক্রয় করে শুরু করে আদম ব্যবসা।

বর্তমানে জাগির অর্ধ কোটি টাকার মালিক ও পরিবারের ব্যবহারে রয়েছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ বরি স্বর্ণ এমন তথ্য জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। জাগিরের এমন চরিত্রে রাজারছড়া এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। একজন বিপথগামী মানুষের চরিত্রের কারনে গোটা এলাকার বদনাম হচ্ছে এমন মন্তব্য এলাকাবাসীর।

টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং, নোয়াপাড়া, খোরের মুখ, হাজম পাড়া, মহেশখালিয়া পাড়া, তুলাতুলি, লম্বরী, দরগারছড়া, রাজারছড়া, নোয়াখালি, শাপলাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য মাঝি-মল্লা ও দালাল রয়েছে যারা রোহিঙ্গা নির্যাতন করে ব্যবসা করছে।

এসব মাঝি-মল্লা ও দালালদের কারণে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবিতে টেকনাফ ও আশপাশ এলাকা থেকে এ পর্যন্ত অন্তত দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

পাঠকের মতামত: