ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কোটবাজার ষ্টেশনে যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

zzzzzzzzzzzzzzzzzzফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

জনপ্রতিনিধিদের সাথে সেনা বাহিনীর মধ্যে বৈঠকের সিন্ধান্ত অনুযায়ী উখিয়ার ব্যস্ততম কোটবাজার স্টেশনে যানজট নিরসন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যেগে এ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সচেতন নাগরিক সমাজসহ ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে পেয়েছে।

জানাযায়, উখিয়ায় বিভিন্ন স্টেশনে ও সড়কে ভয়াবহ যানজট দেখা দেওয়ায় পুরো এলাকায় এক ভিষিকাময় নেমে আসে। এছাড়াও হাটবাজারে সরকারি জায়গার উপর শত শত অবৈধ স্থাপনা বা ঝুপড়ি দোকান বসানোর কারণে পথচারীরা যাতায়তে চরম দুর্ভোগে পড়ে।

এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কাজে দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনী যানজট নিরসন ও অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার লক্ষ্যে উখিয়ার ৫জন চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠক বসে। বৈঠকে সেনাবাহিনীর ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল রহমান স্ব-স্ব স্টেশনে যানজট নিরসন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জনপ্রতিনিধিদেরকে আহবান জানান। অন্যতায় সেনাবাহিনী এ কার্যক্রমে মাঠে নামবেন।

সেনাবাহিনীর সাথে বৈঠকের সিন্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলার ব্যস্ততম কোটবাজার স্টেশনে এ কার্যক্রমে মাঠে নামেন রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ। পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে মেম্বার ও চকিদার এবং গ্রাম পুলিশ গত শুক্রবার কোটবাজার স্টেশনে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে। এসময় ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, সি.এন.জি, জিপ ও টম টম সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী জানান, সেনাবাহিনীর সাথে বৈঠকের সিন্ধান্ত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে কোটবাজার স্টেশনে যানজট মুক্ত করতে সরকারি জায়াগার উপর গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়ছে। জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবুল মনসুর চৌধুরী ও নাগরিক সমাজের আকবর আহমদ চৌধুরী বলেন, কোটবাজার স্টেশনে যানজট মুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করায় পথচারী ও ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাবে।

##########

উখিয়ায় আসামীরা জামিনে এসে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখিয়ার উত্তর পুকুরিয়া গ্রামে আসামীরা জামিন নিয়ে এলাকায় এসে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে বাদী ও স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বলতে গেলে আসামীদের বেপরোয়া প্রাণ নাশের হুমকিতে নিরহ বয়োবৃদ্ধ তাজুর মুল্লকের পরিবার শংকিত জীবন যাপন করছে। এব্যাপারে ভুক্ত ভোগীর পরিবার পুলিশ সুপার ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের সীমানা বিরোধের জের ধরে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষ সাহাবউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো দা দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় তাজুর মুল্লক (৬৫) ও স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৫০) গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় গ্রাম বাসী তাদেরকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এব্যাপারে তাজুর মুল্লক বাদী হয়ে উখিয়া থানায় ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যার মামলার নম্বর ৩৭৩/২৫। এতে সাহাব উদ্দিন, নাছির উদ্দিন ও আব্দুরহমানকে প্রধান আসামী করা হয়।

মামলার বাদী বয়োবৃদ্ধ তাজুর মুল্লক অভিযোগ করে বলেন, আসামীরা জামিন নিয়ে এলাকায় এসে আমাকে এবং আমার ছেলে নুরুল আমিন ও মামুনকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি পথে ঘাটে একা পেলে প্রাণ নাশেরও ধমক দেওয়ায় বর্তমানে বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারছি না। শুধু তাই নয় আমাদেরকে হয়রানি করতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিবে বলেও হাকা-বকা করতেছে।

আসামীর হুমকি-ধমকি ও প্রাণ নাশের অপচেষ্টা থেকে মুক্ত ও পরিবার পরিজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পুলিশ প্রসাশনের সহযোগিতা চেয়েছেন অসহায় পরিবার।

পাঠকের মতামত: