ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় লম্পটের যৌন লালসার শিকার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী ৬মাসের অন্তঃসত্ত্বা!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া থেকে ::dor

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় এক লম্পট যুবকের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। চাঞ্চল্যকর এ ন্যাক্করজনক ঘটনাটি ঘটেছে, পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড়ের দূর্গম পাহাড়ি দরগামুরা এলাকায়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়া ছাত্রী (১৩) টইটং হাজী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।

 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই গ্রামের দেলোয়ার হোছাইনের লম্পট পুত্র মো. বাচ্চ মিয়া (২৪) দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীটিকে কৌশলে ফুসলিয়ে শারীরিক মেলামেশা করে আসছিলো। ফলে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সম্প্রতি এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় উঠে। বর্তমানে বিষয়টি মীমাংসার নামে ধামাচাপা দিয়ে ওই লম্পট যুবক ও তার পরিবারকে বাঁচাতে এলাকার গুটিকয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রহস্যজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

 অন্তঃসত্তা হওয়া ছাত্রীর বাবা রিক্সাচালক মুফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাদের প্রতিবেশী লম্পদ যুবক বাচ্চু তার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে কৌশলে শারীরিক মেলামেশা করতেন। সম্প্রতি তার তার কন্যা অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষার মাধ্যমে তার অপ্রাপ্ত বয়সী কন্যা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বর্তমানে তার কন্যা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি এ ঘটনায় জড়িত লম্পট বাচ্চুর বিরুদ্ধে গত কয়েক দিন পূর্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের লিখিতভাবে নালিশ করেছেন।

 টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধূরী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি বিষয়টি শুনে বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন। বিচার চেয়ে তার কাছে ছাত্রীর পিতা অভিযোগও দায়ের করেছেন। অভিযোগে ছাত্রীর পিতা উল্লেখ করেছেন, ছয় মাস পূর্বে থেকে তাকে বিভিন্ন সময়ে তার কন্যাকে ডেকে নিয়ে মুখে কাপড় দিয়ে এবং পরনের পাজামা (সেলোয়ার) টেনে-হেচড়ে খুলে জোরপূর্বক ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন লম্পট বাচ্চ মিয়া। এমনকি বিষয়টি কাউকে জানালে ছাত্রীটির ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেন ওই লম্পট। সম্প্রতি শারীরিক পরিবর্তন সহ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় মা-বাবাকে ছাত্রীটি এসব কথা খুলে বলে।

 ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী আরো জানান, আমি অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর অভিভাবকদের এ ব্যাপারে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার জন্য বলেছি। যেহেতু ধর্ষণের মাতো ঘটনার বিচার তার এখতিয়ার বহির্ভূত। এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, লম্পটের এরূপ ঘৃণ্য অপকর্মে তারা মর্মাহত। ওই লম্পটের এ ধরনের অনৈতিক চরিত্র তাদের হতবাক করেছে। তারা অভিযোগ করেন বর্তমানে কিছু ভাড়াটে বহিরাগত প্রভাবশালী বিষয়টি মীমাংসার নামে ধর্ষক লম্পট যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।

পাঠকের মতামত: