ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বিদেশী ত্রাণ নিয়ে সরকার বাহবা নিতে চাচ্ছে -মির্জা ফখরুল

bnpcoকক্সবাজার প্রতিনিধি :::
বিদেশীদের দেয়া ত্রাণ নিয়ে সরকার বাহবা নিতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে রোহিঙ্গাদের কোন ত্রাণ দেয়নি। বিদেশীদের ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে।

বৃৃৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং- এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেছেন, গত এক মাস ধরে বিএনপি ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মেডিকেল টীম স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সরকার আন্তরিক নয়। বরং রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুজি করে নোবেল পেতে প্রচারণা শুরু করেছে। জনগণ এসব বোঝে।

মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যখন আমরা জাতীয় ঐক্যের আহবান করি তখন সরকার তাচ্ছিল্য করে। দেশনেত্রীর ডাকে তারা ষড়যন্ত্রের আভাস পান। এমনকি সরকারের একটি বাহিনী প্রধান এনিয়ে নেতিবাচক বক্তৃতা দেয়। এখন সরকার মত পাল্টিয়েছে। জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে বলে সরকারী দলের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিরোধী দল। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। এরপরও বিএনপি বসে নেই। অসহায় আর্তমানবতার সেবায় আমরা কাজ করছি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি কর্মীরা ত্রাণ নিয়ে ছুটে আসছে। রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা রাজনীতি করছিনা। সরকারই দলীয় রাজনীতি করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতি সংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায় রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিবাদ ও বিবৃতি দিলে সরকার নড়ে উঠে। এরপর থেকে সরকার বর্তমান চালাচ্ছে। এতে ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে যেমন জাতীয় ঐক্য জরুরী। ঠিক তেমনিভাবে তাদের নাগরিকত্বসহ ফেরত পাঠাতেও মায়ানমারে উপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতীয় ঐক্যের দরকার হবে। একই সাথে যে সমস্ত দেশ বা সম্প্রদায় গণহত্যায় মিয়ানমারকে সমর্থন জানিয়েছে তাদের সাথে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।

ফখরুলের মতে, রাশিয়া এবং চীনের সাথে আরো অনেক কূটনৈতিক যোগাযোগ জোরদার করতে হবে। এই জন্য বিশেষ দূত পাঠাতে হবে। প্রয়োজনের প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা পরিষদের যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের গণহত্যার প্রাক্কালেও বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করেছে। না করলেও পারতো। প্রয়োজনে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকেও চাল আমদানি করা যেতো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল,  সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, শরীফুল আলম,  জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস ইউং এর সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, জেলা বিএনপির  সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুপ বদরী, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি পৌর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মু. আলী প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: