ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় হয়রানির অভিযোগ: চার আইনজীবি সহকারির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা, একজন গ্রেপ্তার

grepএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মধ্যম কোনাখালী গ্রামের নুরুল আবছার নামের এক নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানি করার অপরাধে উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কর্মরত চার আইনজীবি সহকারির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গতকাল বুধবার মামলার শুনানী শেষে আদালতের বিচারক স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার মো.লুৎফুর রহমান।

গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আইনজীবি সহকারিরা হলেন মো.আবদুল কালাম (কার্ড নং ৫৬৮), মোহাম্মদ ইসমাইল (কার্ড নং ৫৯১), বখতিয়ার উদ্দিন মো.হেলাল উদ্দিন (কার্ড নং ৬১০) ও মৌলানা মোজাদ্দীদুল ইসলাম (কার্ড নং ৪৬৩)।

অভিযুক্তদের মধ্যে আইনজীবি সহকারি মোহাম্মদ ইসমাইলকে গতকাল বিকালে চকরিয়া থানার এএসআই নাজেম উদ্দিনসহ সঙ্গিয় পুলিশদল উপজেলা সড়কের গ্রামীন ব্যাংক এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।

জানা গেছে, চলতিবছরের ১১ এপ্রিল আদালতে একটি মামলায় স্বাক্ষ্য দিতে আসলে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মধ্যম কোনাখালী গ্রামের আবদুল মোনাফের ছেলে নুরুল আবছারকে আটক করে অভিযুক্ত পুলিশে সৌর্পদ করেন। ওইসময় আটক নুরুল আবছারকে ভুঁয়া আইনজীবি সহকারি হিসেবে অভিযুক্ত করে প্রতারনায় জড়িত রয়েছে এমন অভিযোগে এনে তাঁর বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত নুরুল আবছারকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আদালতের পেশকার মো.লুৎফুর রহমান বলেন, আসামি নুরুল আবছারকে জেলহাজতে পাঠানোর পর আদালত মামলাটি তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে চকরিয়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। তিনি বলেন, পুলিশের প্রতিবেদনে নুরুল আবছারকে হয়রানিমুলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে আদালতের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার মামলার শুনানীকালে আদালতে আসামি নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত চার আইনজীবি সহকারি বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। #

পাঠকের মতামত: