ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে বিড়ম্বনার নাম সড়ক জুড়ে ভাসমান বাজার

Eidgong Bazarসেলিম উদ্দীন, কক্সবাজার প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার সদরে ঈদগাঁও বাজারের আরেক বিড়ম্বনার নাম ভাসমান বাজার। নির্দিষ্ট বাজারের বাহিরে ডিসি সড়কসহ একাধিক স্থানে বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকায় সকাল এবং বিকেলে ভাসমান বাজার বসে। এসব বাজারের কোনটিই অনুমোদিত নয়। কোথাও অদৃশ্য শক্তিকে ম্যানেজ করে, কোথাও নিজের জায়গা লাগোয়া হওয়ায় দখল করে চলছে ভাসমান বাজার। ভুমি অফিস থেকে বাস ষ্টেশন পর্যন্ত দুপুরের পর থেকে রাস্তার উভয় পাশের ফুটপাথ হাওয়া হয়ে যায়। শুধু কি ফুটপাথ? না, ফুটপাথ হাওয়ার সাথে রাস্তারও একটা বিশাল অংশ গায়েব হয়ে যায় মাছ, মাংস -তরকারী ব্যবসায়ীদের সাজানো ভাসমান ঢালা-ভ্যানে।

এ ব্যাপারে জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ বলেন, এসব সম্পূর্ণ অবৈধ। রাস্তার পাশের দোকানী ফুটপাথ জুড়ে মালামাল রাখেন। বাজারের চলমান উচ্ছেদ কার্যক্রমের একটা পর্যায়ে এ সকল অবৈধ দোকানের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঈদগড় রোড়ের মাথা থেকে বিপরীত পাশ মহাসড়কের ব্রীজ পর্যন্ত ফুটপাথে মাছ, মাংস, তরকারীর বাজার এবং ঈদগাহ কেজি স্কুলের সামনে ফুটপাথ জুড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত ভাসমান হকারের ভ্যান বাজার বসে। অভিযোগ উঠেছে এসব দোকানী সংঘবদ্ধ একটা চক্রকে বিভিন্ন অংকের টাকা পরিশোধ করে।

এ ব্যাপারে ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, সব দোকানই অবৈধ, তবে জনস্বার্থ বিবেচনায় এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। চলমান উচ্ছেদ কার্যক্রমের আওতায় এসব ভাসমান বাজারকে আনা হবে।

বাজারের বাশঁঘাটা সড়কের ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে বসে বাজার। কাঁচা বাজার থেকে কবিরাজ সিটি সেন্টারের উত্তর পাশ এলাকার দৃশ্যও একই। বাজার ব্যবসায়ীরা বলেন, উল্লেখিত এলাকার বাহিরেও ভাসমান বাজার রয়েছে। এসব ফুটপাথ জনস্বার্থে দখলমুক্ত করা জরুরী।

শাপলা চত্বরে সম্প্রতি ভ্যানে সাজানো বাজার বসে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এসব দোকানীরা বলেন,পেটে লাথি দিবেন না ভাই। স্থানীয় একজন নেতাকে ম্যানেজ করে আমরা ব্যবসা করছি।

মামুন নামের এক পথচারী বলেন, বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে কাঁচা বাজার করতে পারি। জিনিসপত্রও ফ্রেশ পাওয়া যায়। এতে বাজার করার ঝামেলা থেকে রক্ষা পাই। আপনার মতো কয়েক জনের সময় বাঁচাতে হাজার হাজার পথচারীর যে ক্ষতি হচ্ছে তার কী হবে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এর চেয়ে বড় বড় ক্ষতি কিংবা অনিয়ম নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। আমাদের সময় বাঁচে, বেচারা গরীব মানুষগুলোরও দুটো টাকা ইনকাম হচ্ছে খারাপ কী?

বাস ষ্টেশনের মসজিদ সংলগ্ন বিশাল একটা অংশ জুড়ে রয়েছে বাজার। টিএন্ডটি অফিস সড়কেও রয়েছে বাজার। পুলিশ ক্যাম্পের পাশেও রয়েছে বাজার, আছে চাউল বাজার সড়কের মোড়েও। এভাবে যে যার মতো ক্ষমতা দেখিয়ে যেখানে সেখানে বাজার বসিয়ে নিয়মিত তাদের থেকে মাশোহারা নিচ্ছে। পাশাপাশি ব্যক্তি বিশেষ লাভবান হলেও বাজার কর্তৃপক্ষ হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব। ডিসি সড়কে প্রতিদিন বাড়ছে অসহনীয় যানজট।

বাজার ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের শৃংখলার স্বার্থে যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব বাজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

২৭ সেপ্টেম্বর ১৭

পাঠকের মতামত: