ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালীতে জমে উঠেছে আখের বাজার

sogar pic kkসেলিম উদ্দীন,ঈদগাঁও,কক্সবাজার প্রতিনিধি ::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে আখের বাজার জমে উঠেছে। বাস ষ্টেশনের পূর্ব পাশে কবরস্থান সংলগ্ন স্থানে প্রতিদিন ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকার চাষীরা রসালো উন্নত মানের আখ বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসছে। চকরিয়া উপজেলায় চিনি কল না থাকলেও শুধুমাত্র আখের রস সেবনের জন্যই এর কদর অনেক বেশি। ছাত্র-ছাত্রী, মাঝ বয়সের মানুষের অতীব পছন্দনীয় এই রসালো মিষ্টি আখ লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় চাষীরা আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বেচা-কিনা ভাল হওয়ায় লাভের পরিমাণ বেশি হাতে পাওয়ায় চাষি-ব্যাবসায়ীরাও বেজায় খুশি।

জানা গেছে, ইউনিয়নের এলাকা ভেদে কম বেশি আখ চাষ হলেও সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উর্বর উচু জমি বেশি থাকায় অন্য ফসলের পাশাপাশি আখ চাষ সুবিধা ও লাভজনক হওয়ায় আখ চাষের প্রতি দিনদিন এই এলাকার কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর বন্যার কারণে রোপা-আমন ধান, অন্যান্য ফসল ও শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বছরের এ সময়ে সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবিরা ও কৃষকদের কাজকর্ম না থাকায় তারা চরম অর্থ সংকটের কবলে পড়েছে। এখান থেকে কিছুটা উত্তোরনের জন্য অর্থকারি ফসল হিসেবে অনেক কৃষকই লাল জাতের আখ চাষে মনযোগী হয়ে উঠছে। বন্যার পর অন্য চাষিদের চেয়ে আখ চাষিদের উৎপাদিত রসালো আখ বিক্রয়ের ধুম পড়ায় কিছু নতুন পয়সা হাতে আশায় চোখে-মুখে তাদের আনন্দের ছাপ দেখা গেছে।

যদিও আখ চাষ ধানের চেয়ে বেশি সময় লাগে এবং তুলনামূলক ভাবে লাভ কম হয় কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবল থেকে একটু রেহাই পাওয়ার জন্য এসব এলাকায় কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। বছরের মে হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত জমি হতে আখ কেটে বিক্রয় করার মৌসুম। আর এই সময়ে প্রতিদিন ভোর হতে বাস ষ্টেশনের পূর্ব পাশে কবরস্থান সংলগ্ন স্থানে আখের বাজারে চলে জমজমাট বেচা-কিনা। খুচরা আখ ব্যবসায়ীরা বছরের এই সময়ে প্রায় ৩ মাস জমজমাট ব্যবসা করলেও বছরের অন্য সময়ে শুষ্ক মৌসুমে কৃষি কাজে জড়িয়ে জীবন-যাপন করেন। খুচরাভাবে আখ বিক্রয়ে দ্বিগুন লাভ হওয়াই বর্তমানে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এই ব্যবসা করছেন। বাজারে ভাল মানের একটি আখ ৪০/৫০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

ইউনিয়নের মৌসুমী আখ ব্যবসায়ী খালেক জানান, প্রতি বছরই এই সময় পাইকারি বাজার থেকে আখ কিনে বাজারে বিক্রয় করি। এতে আমার প্রতিদিন ভালই লাভ হয়।

ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জাকের আহমদ জানান, চলতি মৌসুমে অনুমানিক ৩০ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। নিবিড় পরিচর্চা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্য বছরের তুলনায় এবছর আখের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: