ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় শারদীয় দুর্গোৎসবে ৪৫টি মন্ডপে প্রতিমাপুজা: ৩৮টি ঘটপুজা পালনের প্রস্ততি

durga-8এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার ৪৫টি মন্ডপে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া শারদীয় দুর্গোৎসব আয়োজন সফল করতে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহন করা হয়েছে। পাশাপাশি উৎসব চলাকালীন সময়ে পুজারী এবং মন্ডপ গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ৪৫টি মন্ডপ বা মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। সভার সিদ্বান্তের আলোকে উৎসব শুরুর আগের দিন থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ডপ গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এবছর উপজেলায় ৪৫টি মন্ডপে প্রতিমা পুজা ও ৩৮টি ঘটপুজা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ।

চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার ৪৫টি মন্ডপে শান্তিপুর্ণভাবে এবছর শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সাহারবিলের ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন বাবুল, চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ ও উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। তিনি বলেন, উৎসব চলাকালে পুজারী ও মন্ডপ গুলোতে যাতে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা বা অনভ্রিপেত কোন ধরণের ঘটনা না ঘটে সেইজন্য প্রয়োজনে জেলা পুলিশ লাইন থেকে স্পেশাল পুলিশ সদস্য আনা হবে। আশাকরি প্রতিবছরের মতো এবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলস্তরের নারী-পুরুষ সব ধরণের শঙ্কা ও ভীতি কাটিয়ে নিরাপদ পরিবেশে উৎসব পালন করতে পারবে। #

পাঠকের মতামত: