ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

এখনো জ্বলছে রাখাইন,রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ঠেকাতে পেট্রোলবোমা!

rohingya-villege-burnঅনলাইন ডেস্ক ::

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখনো নতুন করে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। টেকনাফ সীমান্তের এপার থেকে সকাল থেকে স্পষ্ট দেখা যায় জ্বলন্ত অগ্নি শিখা ও ধোঁয়ার কুন্ডলী।
পালিয়ে আসা মাঙ্গালা এলাকার রোহিঙ্গা ছুরত আলী জানান, মিয়ানমার সেনারা প্রতি দিনই মুসলমানদের বসতিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। নতুন করে বৃহস্পতিবার সকালে মাঙ্গালা, নাইনসং ও রইঙ্গাদং গ্রামগুলো জালিয়ে দিয়েছে। সেনারা হ্যান্ডমাইক দিয়ে বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার আগে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সরে যেতে বলছে। এ সময় মানুষ দিগি¦দিক চারদিকে ছুটছে। কিছুক্ষন পর পর সেনাদের হেলিকপ্টার আকাশে চক্কর দিচ্ছে।
এদিকে, টেকনাফ সীমান্ত থেকে পরিস্কারভাবে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে। সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষজন জ্বলন্ত গ্রাম গুলো দেখতে সীমান্তে ভীড় জমিয়েছে।

…………..

রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ঠেকাতে পেট্রোলবোমা!

অনলাইন ডেস্ক :1505989195

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ ঠেকাতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলো আন্তর্জাতিক রেডক্রস। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বুধবার রাতে রাখাইনের রাজধানী সিতেতে রোহিঙ্গাদের জন্য রেডক্রসের কর্মীরা বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী নৌকায় তুলছিলেন। এসময় ত্রাণকর্মীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন রোহিঙ্গাবিরোধীরা। কারও হাতে লাঠি ও কারও হাতে ছিল রড। একপর্যায়ে তারা পেট্রলবোমাও নিক্ষেপ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অন্তত ২০০ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়। এই ঘটনায় ত্রাণকর্মীদের কেউ আহত হননি। রাখাইনে প্রাণভয়ে ঘর থেকে বের না হওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সরবরাহের উদ্যোগ নেয় রেডক্রস।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে বেশ কয়েকটি চৌকিতে হামলার জেরে সেখানে সহিংস অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এতে অন্তত এক হাজার রোহিঙ্গার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সহিংস অভিযানের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে সোয়া চার লাখ রোহিঙ্গা।

পাঠকের মতামত: