ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় পরিদর্শনকালে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি-এমিনি, আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার আহ্বান

erduganফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে বর্রবর নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পাশে তুরস্কের সরকার থাকবে বলে জানিয়েছেন ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান। মায়ানমার থেকে বিতাড়িত বিশাল রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি এসময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মায়ানমার সরকারের মিলেটারি কর্তৃক রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গা নাগরিককে গণ হত্যা, ধর্ষণ, বাড়ী ঘরে অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ মানবতার চরম লংঘন করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান একথা বলেন। পরিদর্শনকালে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তাদের নির্মম ও নিষ্টুর গণহত্যার বর্ণনা শুনে তিনিও কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেগলুত কাভাসোগলু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তুরুস্কের বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনসহ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের পতœী এমিনি এরদোয়ান বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তুরস্কের একটি বিশেষ বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়ক পথে প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসেন।

বেলা ১.৩০ মিনিটের সময় উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে পৌঁছান। এসময় ক্যাম্পের দেশী-বিদেশী কর্মকর্তারা এমিনি এরদোয়ানকে স্বাগত জানান। পরিদর্শন কালে তিনি নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।

পাঠকের মতামত: