ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় শেখ মুজিব সাফারী পার্কে ছুটির দিনেও গেইট খোলা রেখে কর্মকর্তারা ৩লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

durnitiকক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা ::::
সরকারী নীতিমালা অমান্য করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ মঙ্গলবারেও চকরিয়ায় বঙ্গবন্দু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের গেইট খোলা রেখে প্রায় ৬হাজার দর্শনার্থীদের কাছে টিকেট বিক্রির ৩লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার ও পার্কের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সাফারী পার্কের সকল জীব-জন্তু ও পশু-পাখীর বিশ্রামের জন্য সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ছুটি ঘোষানা করা হয়েছে। এ দিনে পার্কের গেইট সম্পর্ন বন্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও ক্ষমতাধর কর্মকর্তার নিদের্শে পার্কের গেইট খোলা রেখে টিকেট বিক্রির ৩ লাখ টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে টিকেটে বিক্রয়ে অনিম চলছে ব্যাপক হারে। ঈদের সময় পর্যটক ও দর্শনার্থীরা পরিবার পরিজন নিয়ে পার্কে বেড়াতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে টিকেট বিক্রেতার রুশানলে। ফলে হয়রানীর মুখেও দর্শনার্থীরা পার্কে প্রাবেশ করতে বাধ্য হচ্ছে। কক্সবাজারের শিমুল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ইজারাদার প্রতিষ্টান টিকেট বিক্রির দায়িত্ব পাওযার ৫ দিনের ব্যবধানে তাদের ব্যাপক অনিয়ম ও পর্যটক হযরানীর অভিযোগ উঠেছে। দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে পার্কের ইজারাদার নিদিষ্ট সময়ের আগে মোটা অংকের টাকা আয় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পার্কের পশু-পাখী ও জীব-জন্তুর সাপ্তাহিক ছটির (বিশ্রামের) দিনে সরকারী নীতিমালা ভঙ্গ করে পার্ক খোলা রাখার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এতে করে সরকারের লাখ লাখ টাকা গচ্ছা যাওয়ার পাশাপাশি পার্কের জীব-জন্তু ও পশুপাখীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সরকার নীতিমালা অনুযায়ী ঘোষিত টিকেটের মূল্য প্রতিজন বয়স্ক নারী-পুরুষ আগে ছিল ২০ টাকা এখন করছে ৫০ টাকা। শিশুদের জন্য আগে ছিল ১০ টাকা, এখন করেছে ২০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু পার্কের অসাধু ইজাদার নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ১৫বছরের নীচে আগত শিশু-কিশোরদের কাছ থেকে ২০টাকার পরিবর্তে মাথা পিছু ৫০টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল এ প্রতিবেদক চকরিয়া ডুলাহাজারা শেখ মুজিব সাফারী পাক ঘুরে দেখ অনেকা অভিযোগ। ঢাকা থেকে আসা রতন কান্তি দাশ বলেন, তার স্ত্রী ২ শিশু নিয়ে পার্কে টিকেট নিতে যায়। এসময় তিনি ১শ ৪০ টাকা দিলে টিকেট নাই বলে ফেরত দেয়। প্রতি উত্তরে বলে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে দিলে টিকেট দেওয়া হবে। যদি শিশুদের জন্য ২০ টাকা করে নিতে হয় তা হলে পার্কের উর্ধ্বতন মহল থেকে অনুমতি নিয়ে ২০ টাকায় শিশুদের টিকেট নিতে পারবেন। এ ধরনের অভিযোগ অনেকের। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী রহিম উল্লাহ জানায়, ছেলে-মেয়েরা যখন পার্কে ঘুরার আগ্রহ প্রকাশ করছে পার্কের ইজারাদারা যত টাকা চ্ইাছে তত টাকা দিতে হচ্ছে, এখানে কিছু করার নেই বললে চলে। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী বিকেল ৫টার পরও দর্শনার্থীদের কাছে টিকেট বিক্রি বন্ধ করার নিয়ম থাকলে তা মানা হচ্ছে না। বিকেল ৫টার পর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নিয়ম ভেঙ্গে দর্শনার্থী প্রবেশ করাচ্ছে।
আরো অভিযোগ করছেন, চকরিয়া উপজেলার বাটাখালী এলাকার সেলিম জানায়, তিনি আজ মোটর সাইকেল নিয়ে বিকালে পার্কে উপস্থিত হয়। উপস্থিত হওয়ার পর এক ছেলে এসে তার কাছ থেকে মোটর সাইকেল রাখার জন্য ৫০ টাকা দাবী করে। কিন্তু মোটর সাইকেলসহ ২ ও ৩ চাকার গাড়ি থেকে কোন ধরনের টেক্সের টাকা নেয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু ইজারাদার ২ চাকার মোটর সাইকেল থেকে ৫০ টাকা, ৩ টাকার টমটম ও সিএনজি গাড়ি থেকে ১শত টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পার্কের বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম এর কাছে ফোন করে জানতে চাইলে, তিনি পার্কের জরুরী কাছে কক্সবাজার অবস্থান করছেন বলে জানান এবং ছুটির দিনে পার্ক খোলা রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছইু জানেন না বলে ফোন কেটে দিয়েছেন।
উপজেলার ডুলাহাজারা এলাকায় ৯শ হেক্টর জুড়ে গড়ে উঠে এ পার্কটি। এ পার্কে রয়েছে, পর্যটকদের দেখার মত দেশ- বিদেশের চেনা-অচেনা বিভিন্ন ধরনের পশু –পাখি ।
সাফারী পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মোরশেদুল আলম বলেন, ঈদের আমেজ দর্শনার্থী রয়েছে প্রচুর। যেখানে আমেজ বেশী সে খানে অনিয়ম ও কিছু থাকে। ঈদের ২/৩দিন ধরে কিছু অনিয়ম হচ্ছে। তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, জামায়াত ও আওয়ামীলীগের লোকজন এবারে ভাগাভাগি করে ডুলাহাজারা শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ইজারা নেয়। দাপটের সাথে পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে তারা ইচ্ছামত পার্কের টিকেট বিক্রয় থেকে শুরু করে সব ধরনের অনিয়ম করে যাচ্ছে।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানার জন্যে মেসার্স শিমুল এন্টারপ্রাইজের মালিকের নাম¦ারে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: