ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিন: খালেদা জিয়া

বিবিসি :khaleda-zia
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার দিকে বাংলাদেশ সরকার কোন মনোযোগ দিচ্ছে না এবং সরকারের দুর্বল কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি শোচনীয় রূপ ধারণ করেছে।
একই সাথে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতেও আহবান জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন।
বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার পক্ষে এ বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
খালেদা জিয়া বলেন, “রোহিঙ্গারা বসতবাটি, সহায় সম্বল হারিয়ে প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার জন্য বাংলাদেশের সীমান্তগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। রাখাইন রাজ্যে গ্রামের পর গ্রামে আগুন জ্বলছে। আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের উপরও মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী অবিরাম গুলি বর্ষণ করে যে নারকীয় পরিবেশ তৈরি করেছে তা বর্ণনাতীত”
মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেবে আশা করেন বিএনপি নেত্রী।
খালেদা জিয়া সতর্ক করে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে।
এদিকে মানবিকতার দৃষ্টিকোন থেকে হলেও রোহিঙ্গা মুসলমানরা যারা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে তাদের প্রাথমিক আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ করেছে শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ।
একই সাথে সংস্থাটি বাংলাদেশে সরকারকে যেকোন ধরণের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে যখন রোহিঙ্গাদের প্রবেশে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বাধা দিচ্ছে তখন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে মিয়ানমার থেকে আসা মানুষদের ফেরত পাঠানো সংস্থাটি উদ্বিগ্ন।
সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা সৌভিক দাস বলছিলেন অনেকে আহত অবস্থায় আসছেন তাদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছে বাংলাদেশ সরকারকে।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে নাফ নদী পার হয়ে টেকনাফে যেমন মানুষ আসার চেষ্টা করছে, তেমনি বান্দরবান থেকেও তারা চেষ্টা করছে বাংলাদেশে ঢোকার।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে শুক্রবারের সশস্ত্র হামলার পর সেখানকার রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিজিবির একজন কর্মকর্তা লে.ক আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন সব রকম অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তাদের উপর নির্দেশ রয়েছে।
তবে যারা আহত অবস্থায় আসছেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা মি. দাস বলছিলেন প্রাথমিক ভাবে আশ্রয় দেয়ার জন্য যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার সেটা তারা দিতে প্রস্তুত আছে সরকারকে।
তবে জাতিসংঘের এই সংস্থার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: