ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় লণ্ডভণ্ড ৫৮ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেই

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::   charoad

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত কয়েকটি ভয়াবহ বন্যায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের অভ্যন্তরীণ অনেক সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। শুধু সওজেরই আওতাধীন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আটটি সড়কের ৫৮ কিলোমিটার অংশ ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় অসংখ্য গর্তের। সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।

বন্যার পর চকরিয়া সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে আটটি সড়কের ২৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ও ৩৪ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও এসব সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সড়ক বিভাগ।

চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া ওই আটটি সড়ক হলো কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, বরইতলী মগনামা সড়ক, চিরিঙ্গা-বদরখালী-মহেশখালী সড়ক, টেইটং থেকে লালব্রিজ পর্যন্ত এবিসি সড়ক (আঞ্চলিক মহাসড়ক), চিরিঙ্গা জনতা মার্কেট-বেতুয়া বাজার-বাঘগুজারা সড়ক, ইয়াংছা-মানিকপুর-শান্তিবাজার সড়ক, জিদ্দাবাজার-মাঝের ফাঁড়ি সড়ক ও একতা বাজার-পহরচাঁদা সড়ক। সওজ বিভাগ চকরিয়া কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (এসও) আবু আহসান মো. আজিজুল মোস্তফা বলেন, ‘গত জুলাই মাসের লাগাতার ভারি বর্ষণ ও কয়েক দফা বন্যার তাণ্ডবে চকরিয়া সড়ক বিভাগের অধীন ওই আটটি সড়কের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। সড়ক বিভাগের অধীন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় প্রায় ১১৫ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। তার মধ্যে বেশির ভাগ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে ভেঙে গেছে। অনেক স্থানে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

’ মোস্তফা আরো বলেন, ‘বন্যার পর সরেজমিন পরির্দশন করে চকরিয়া সড়ক বিভাগের অধীন ২৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ ও ৩৪ কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতির চিত্র পাওয়া গেছে। এরপর এসব সড়ক সংস্কারে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। ’

 সওজ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। তারপর আমাদের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মেরামতকাজ করা হচ্ছে। তবে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত হলেই চকরিয়া উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ’

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সড়ক-উপসড়কগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে একাধিকবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। ’

পাঠকের মতামত: