ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রামুতে স্মরণকালের বৃহৎ মেজবানে লাখো মানুষের মিলনমেলা

ramu coxsbazar pic 22.08.17সোয়েব সাঈদ, রামু ::

কক্সবাজারের রামুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে স্মরণকালের বৃহৎ মেজবান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রামু স্টেডিয়ামে আয়োজিত মেজবান এবং শোক সমাবেশে অংশ নেন, কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার লাখো জনতা।

মেজবানস্থলে নির্মিত প্রতিকী কারাগারে বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সাংসদ কমল, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফাসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতৃবৃন্দ স্বেচ্ছায় কারাবরণের এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

বৃহৎ মেজবান, কারাবন্দি কর্মসূচি চলাকালে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, শোষন, নিপীড়নে অতিষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতার হত্যাকারি অনেকের ফাঁসি হয়েছে। যারা এখন বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জাতি তাদের বিচার দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। যার ফলশ্রুতিতে আজ রামুতে প্রতিকী কারাগারে বন্দি হয়ে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তুরের জনতার এ প্রতিবাদ বিশ^বিবেককে নাড়া দেবে। তিনি বলেন, সাংসদ কমলের উদ্যোগে এ ব্যতিক্রমী কারাবন্দি প্রতিবাদ ও স্মরণকালের বৃহৎ মেজবান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতাকর্মীদের জন্য সাহস আর প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

রামু জাতীয় শোক দিবস ও মেজবান বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম রিয়াজ উল আলমের সঞ্চালনায় বিশাল শোক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইউনুচ বাঙ্গালী, সদস্য আবুল হোসেন কোম্পানী, এডভোকেট সুলতানুল আলম, রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক চেয়ারম্যান, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য তাহমিনা হক চৌধুরী লুনা, শামসুল আলম চেয়ারম্যান ও নুরুল হক কোম্পানী, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাঙ্গালী, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু তালেব, আওয়ামীলীগ নেতা শামীম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহের, যুব মহিলালীগের সভানেত্রী আয়েশা সিরাজ, আওয়ামীলীগ নেত্রী ইয়াছমিন আকতার, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আহমদ মাস্টার, চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আবদুল মাবুদ, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টো, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল গনি চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, সহ সভাপতি ওসমান সরওয়ার মামুন, জেলা মৎস্যজীবিলীগ নেতা আনছারুল হক ভূট্টো, আওয়ামীলীগ নেতা হাজ¦ী নুরুল হক, সৈয়দ মো. আবদু শুক্কুর, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ মেম্বার, সাংসদ কমলের একান্ত সচিব ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, উপজেলা তাঁতীলীগ সভাপতি নুরুল আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, উপজেলা শ্রমিকলীগ আহবায়ক শফিউল আলম কাজল, যুগ্ন আহবায়ক সাহাব উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ নোমান, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি একরামুল হাসান ইয়াছিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে সাংসদ কমল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের স্পন্দন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করা হয়। তবে এবার এ আয়োজন সবচেয়ে বৃহৎভাবে করা হয়েছে। মেজবানস্থলের সামনে বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রতিকী কারাগারে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তিনি বলেন, যদি অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করা না হয়, তাহলে কক্সবাজার-রামুর মতো সারাদেশের মানুষ এভাবে প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠবে।

বেলা ১২টা থেকে বিকাল পর্যন্ত এ মেজবানে কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী, সরকারি দপ্তর, কলেজ, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের জনতা অংশ নেন।

মেজবানের জন্য মাঠে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের জন্য ১১টি প্যান্ডেলে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলার মেহমান, সাংবাদিক এবং বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক প্যান্ডেলে মেজবানের আয়োজন করা হয়।

রামু জাতীয় শোক দিবস ও মেজবান বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানিয়েছেন, সাংসদ কমলের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেজবান দেশের স্মরণকালের বৃহৎ মেজবান। মেজবান ও শোক সমাবেশে লাখো মানুষ সমবেত হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আয়োজন বিশাল হলেও সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন করতে পারায় তিনি আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, সৈনিকলীগ, তাঁতীলীগ, বঙ্গবন্ধু ছাত্রপরিষদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

 

পাঠকের মতামত: