ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বনাঞ্চলে জীববৈচিত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে গাছ নিধন ও দখল বন্ধ করতে হবে -ফাঁসিয়াখালী ও মেধাকচ্ছপিয়া সহ-ব্যবস্থাপনার কাউন্সিলে-ইউএনও

Chakaria Picture 17-08-2017(1)চকরিয়া অফিস :

চকরিয়ায় ‘‘প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচাই’’ স্লোগানে জীববৈচিত্রের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে গঠিত ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির কাউন্সিল সভা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ক্রেল প্রকল্পের সাইট অফিসার মো.আব্দুল কাইয়ুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম।

অনুষ্ঠিত কাউন্সিল সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমান, ্উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ, ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সহ-ব্যব¯’াপনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সদস্যসচিব ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন, মেধাক”ছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এস এম আবুল হোসেন. সহ-সভাপতি বাহাদুর হক, ক্রেল প্রকল্পের কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

সভায় ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন কমিটির আগের রেজুলেশন পাঠ করেন। একই সাথে দুটি সহ-ব্যব¯’াপনা কমিটির আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন মেদাকচ্ছপিয়া সিএমসির কোষাধ্যক্ষ রাজিয়া সুলতানা ও ফাসিয়াখালীর কোষাধ্যক্ষ এলমুন্নাহার মুন্নী। এছাড়াও ছয় মাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন আলোকপাত করেন ফাঁসিয়াখালী সিএমসির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ও মেদাকচ্ছপিয়া সিএমসির সভাপতি এস এম আবুল হোসেন।

সভায় নেকম-ক্রেল প্রকল্পের অর্ধ-বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ক্রেল প্রকল্পের সাইট অফিসার আব্দুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, তিনি বলেন, ক্রেল প্রকল্প হল পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প যাহা ইউএসএই্ড এর অর্থায়নে এবং উইনরক ইন্টার ন্যাশনাল এর কারিগরি সহযোগিতায় পরিচালিত। মাঠ পর্যায়ে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করছে ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)। বন ও বন্য প্রাণীসংরক্ষণ, পরিবেশ-প্রতিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও পরিবেশ বান্ধব টেকসই জীবিকায়ন নিয়ে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট সহ-ব্যব¯’াপনা কমিটি ও ষ্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই এ প্রকল্পের মূললক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, বিগত ছয় মাসে নেকম-ক্রেল প্রকল্প বেতের ও বাশের চারা রোপন, ফলের বাগান, ড্রাগন ফলের চাষ, উন্নত সবজি চাষসহ বিকল্প জীবিকায়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি ক্রেল প্রকল্পের সকল কর্মকান্ড সচিত্র আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম উপস্থিত দুটি সহ-ব্যব¯’াপনা কমিটির সকলের কাছ থেকে সমস্যার কথা শোনেন। তিনি বনাঞ্চল অধ্যুষিত এলাকায় বালি উত্তোলনকারীদের সিমানা নির্ধারণ করতে ভুমি সার্ভেয়ার ও বনবিভাগের সার্ভেয়ারসহ টিম পাঠানোর আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বনাঞ্চলের জীববৈচিত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে গাছ নিধন ও দখল-বেদখল বন্ধ করতে হবে। তারজন্য সমাজের সকলস্থরের মানুষকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বনাঞ্চলের ভেতর পরিবেশ বান্ধব পর্যটন টুরিজম গড়ে তুলতে কাজ চলছে। যাতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হলে সেখানে আর বনজসম্পদ উজার ও দখল-বেদখলের প্রবনতা কমে যাবে। এই জন্য উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ, সিএমসি ও ক্রেল প্রকল্পের একটি টিমকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারিত লোকেশনে পাঠানো হবে। তারপর প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

পাঠকের মতামত: