ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে রমরমা কোচিং বাণিজ্য

chocরামু সংবাদদাতা :::

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা লংঘন করে রামু উপজেলার একাধিক স্পটে চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেও সাময়িক পরীক্ষায় পাসের আশ^াস বা নাম্বার কম দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের এসব কোচিং সেন্টারমুখি করাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকরা।
রামুর জনবহুল স্পট স্বপ্নপুরী সড়কে সাইনবোর্ড দিয়ে কোচিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকদেও একটি চক্র। এরা সবাই আশপাশের এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। প্রিজম কোচিং হোম নামের এ প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের স্বপ্নপুরী সড়কস্থ জনৈক আমান উল্লাহর ভাড়া বাসায়।
কোচিং সেন্টারটিতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়ান রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক ঝাঁক শিক্ষক। এরা হলেন, বিদ্যালয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিন, ইয়াছির আরাফাত, রনজিৎ কুমার দে, সুমথ বড়–য়াসহ আরো কয়েকজন। এমনকি এ প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ফেসবুক পেজও চালু রয়েছে।
এখানে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেও নানান চাপে পড়ে তারা এখানে পড়তে বাধ্য হচ্ছেন। এখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা করে নেয়া হয়। একসাথে অসংখ্য শিক্ষার্থীদের পড়ানোর কারনে এটাও ক্লাসের মতো মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২০ জুন কোচিং বন্ধের নীতিমালা প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে তারা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি সাপেক্ষে অন্য স্কুল, কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে দিনে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়াতে পারবেন। তবে কোচিং সেন্টারের নামে বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করা যাবে না।
এরপরও রামুর বিভিন্ন স্থানে সরকারি এ নীতিমালা তোয়াক্কা না করে রমরমা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন কতিপয় শিক্ষক। আর প্রশাসনের এসব নিয়ে নীরব ভুমিকা রাখায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। প্রিজম কোচিং হোমের মত আরো একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে রামুতে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি রামুর সচেতন মহলের।

পাঠকের মতামত: