ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় হামরুবেলা’র টাকা আত্মসাতের তদন্তে বাঁধা

চকরিয়া অফিস :atto
চকরিয়ায় হামরুবেলা বিশেষ ক্যাম্পেইনের জন্য বরাদ্দ দেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের না দিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত শুরু হলেও স্বাক্ষীদের বাঁধা হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২ আগস্ট চকরিয়া নিউজ ডটকমসহ দৈনিক কক্সবাজারে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৮ আগস্ট থেকে কক্সবাজার সিভিল সার্জন এ তদন্ত শুরু করেন।
অভিযোগে জানা যায়; গত ২৯ এপ্রিল থেকে ১৪ মে পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে হামরুবেলা’র বিশেষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত হয়। হামরুবেলা’র এই বিশেষ ক্যাম্পেইন বাস্তাবায়নের জন্য দুইটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ডাব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) এবং ইউনিসেফ (টঘওঈঊঋ) হামরুবেলার এই বিশেষ ক্যাম্পেইনের বিভিন্নখাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেন। ওই বরাদ্দের মধ্যে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভ্যাকসিন ও লজিস্টিক পরিবহনের জন্য ১৮জন পোর্টার নিয়োগ দেয়ার কথা। তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ১লাখ ৭২ হাজার টাকা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন ও লজিস্টিক পরিবহনের দায়ীত্বে ছিল মাত্র ৪জন পোর্টার(কর্মী)। ওই চারজনের মধ্যে মাত্র তিনজনকে ১১ হাজার টাকা করে ৩৩ হাজার পরিশোধ করে কাল্পনিক ব্যক্তিদের নামে ব্যয় বিবরণী দাখিল করে বাকী সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসকদের (সিএইচসিপি)দের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দ দেয়া ২৭ হাজার ১শত টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাত ও ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের যাতায়াতের টাকাও আত্মসাত করা হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে মাইকিংয়েও ভুয়া বিল ভাউচার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গত ২ আগস্ট চকরিয়া নিউজ ডটকমসহ দৈনিক কক্সবাজারে সবিস্তারে সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ৮ আগস্ট কক্সবাজারের সিভিল সার্জেন ডাঃ আব্দুস সালাম চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এ তদন্ত শুরু করেন। এখনও চলছে তদন্ত। কিন্তু তদন্তের সময় স্বাক্ষী ও সংশ্লিষ্টরা যাতে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে যেতে না পারে সেজন্যে তাদের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুস সালামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, তদন্ত চলছে প্রমানিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: